এমনি এমনিই দুইবার টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারা জানে কীভাবে চ্যালেঞ্জিং স্কোর চেজ করতে হয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে তা হাতে-কলমে দেখিয়ে দিল ক্যারিবিয় দুই ব্যাটার পুরান এবং মায়ার্স। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটিং তাণ্ডবেই বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারাল স্বাগতিকরা। সাথে জিতে নিল টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ তে।
বাংলাদেশের দেয়া ১৬৪ রানের টার্গেট করতে নেমে শুরুতে নাসুম, মেহেদি এবং সাকিবের বোলিং চাপে পড়েছিল স্বাগতিকরা। শুরুতেই এই তিন বোলার তিন উইকেট নিয়ে চাপে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। তবে এরপর পুরান ও মায়ার্স টার্গেটটাকে মামুলি করে ফেলে। চার-ছক্কার বল ও উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় ক্যারিবিয়রা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন নিকোলাস পুরান। এছাড়াও ৩৮ বলে ৫৫ রান করেন মায়ার্স। এই ম্যাচে ক্যারিবিয় ব্যাটসম্যানরা মেরেছে ১১টি ছক্কা।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে দুই উইকেট নেন নাসুম। এছাড়াও সাকিব ও মেহেদি একটি করে উইকেট পেয়েছেন। আর মুস্তাফিজ এবং শরীফুল তো মার খেতে খেতে ভুত হয়ে গেছে। মুস্তাফিজ দুই ওভার বোলিং করে দিয়েছেন ২৭ রান আর শরীফুল এক ওভার বোলিং করার সুযোগ পান, আর সেই এক ওভারে দেন ১৩ রান।
এদিকে সিরিজ বাঁচানোর মিশনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পেয়েছিল বাংলাদেশ। লিটনের ৪৯ এবং আফিফের ৫০ রানের উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। তবে এই সংগ্রহটাও মামুলি করে ফেলে ক্যারিবিয় ব্যাটাররা।
দলের প্রয়োজনে আফিফ হোসেন খেলেছেন এক দুর্দান্ত ইনিংস। তার ব্যাটিংটা ছিল কিছুটা টি-টোয়েন্টি সুলভ। ৩৮ বলে দুই চার এবং দুই ছয়ে ৫০ রান করে রান আউট হয়েছেন তিনি। তবে রান আউটটা নিজের ইচ্ছাতেই হয়েছেন। তবে এই আফিফ বাদে কেউই টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে পারেননি।
এদিকে ম্যাচের শুরুতেই এনামুল ও সাকিবকে হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে তখনই দলের হাল ধরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান লিটন দাস। ফিফটির এক রান আগে ওয়ালশ জুনিয়রের বলে মারতে গিয়ে আউট হন লিটন। তবে লিটন ৪৯ রান করেছেন ৪১ বল খেলে, যা টি-টোয়েন্টিতে ধীর গতির এক ইনিংস।
এনামুল প্যাভিলিয়নে ফেরার পর সাকিব নেমেই প্রথম বলে চার মারেন। তবে তিনিও ক্রিজে টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৩ বলে করেন মাত্র ৫ রান। আর দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ২০ বলে ২২ রান করে আউট হন। সবার সম্মিলিত ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
স্বাগতিকদের হয়ে ২৫ রান দিয়ে দুইটি উইকেট পেয়েছেন ওয়ালশ জুনিয়র। এছাড়াও একটি করে উইকেট পেয়েছেন ওদেম স্মিথ এবং শেফার্ড।