কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ কাপাসিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব এবং অফিস সহকারীর অপমান সইতে না পেরে এক মহিলা আনসার সদস্য বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টার সংবাদ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের রায়েদ উত্তর পাড়া সুরুজ মিয়ার বাড়িতে। ফরিদা রায়েদ ইউনিয়নের আনসার মহিলা সদস্য। অভিযোগ একই ইউনিয়ন সচিব মনিরুল ইসলাম ও অফিস সহকারী নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে। এমনকি এ তথ্য কোন সাংবাদিককে না দেয়ার জন্য গাজীপুর হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে দেয়া হয় প্রাণনাশের হুমকি।
জানা যায়, আনসার সদস্য ফরিদা ১০ বছর যাবত রায়েদ ইউনিয়ন পরিষদে মহিলা আনসার সদস্য হিসেবে কর্মরত আছেন। শরীর ভালো না-থাকার বুধবারে একটু দেরিতে পরিষদে যাওয়ার কারণে ফরিদাকে পরিষদে ঢুকতে দেয়নি ইইপি সচিব মনিরুল ইসলাম ও অফিস সহকারী নাজমুল হোসেন। সুধু তাই নয় ফরিদাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও চাকরিচ্যুত করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন ওই ইউপি সচিব ও অফিস সহকারী।
চাকরি থেকে পদত্যাগ করে ইউপি প্রাঙ্গণ ত্যাগ করতে বলেছেন তারা। এই অপমান সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাড়িতে বিষপান করলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জানার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হিরন মোল্লার মোবাইলে একাধিকবার ফোন ও ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ইউপি সচিব মনিরুল ইসলাম বলেন, বুধবার পরিষদে আসতে দেরি হওয়ায় অফিস সহকারী নাজমুল রিজাইন দিয়ে চলে যেতে বলেছে ফরিদাকে। এনিয়ে চেচামেচি শুরু করল আমি বলেছি এটা নিয়ে উত্তেজিত হবেন না। আপনি বেশি বেশি বেয়াদবি করতেছেন। বিষপান করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ভুক্তভোগীর খোঁজ নিয়েছি কিন্তু তাদের সাথে কথা বলিনি।