দিনে মাত্র ছয় ঘণ্টা কাজ করতে হবে। এজন্য কর্মচারীদের প্রতি মাসে চার হাজার ইউরোর বেশি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ লাখ টাকা) অফার করা হয়েছে। কিন্তু কেউ সেই কাজ নিতে চায় না। লাখ লাখ টাকা বেতনের ঘোষণা দিয়েও মিলছে না কর্মী
অস্ট্রেলিয়ায় কমলালেবুর মৌসুমে শ্রমিকের এই সংকট দেখা গেছে। চলতি মৌসুমে দেশটিতে কমলালেবুর ফলন বাম্পার হয়েছে। কিন্তু লেবু তোলার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। সংবাদমাধ্যম দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির একজন এমপি (সংসদ সদস্য) ফল তোলার জন্য শ্রমিকদের উচ্চ বেতনের ঘোষণা দিয়েও শ্রমিক পাচ্ছেন না।
এমপি অ্যান ওয়েবস্টার প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা বেতনের বিনিময়ে কর্মী না পাওয়াকে ‘ইচ্ছাকৃত ট্র্যাজেডি’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পাকা ফলগুলো শ্রমিকের অভাবে মাটিতে পড়ে পচে যাচ্ছে। এতে দেশের কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, সানরেশিয়ার চাষিরা বিস্ময়করভাবে কমলালেবু উৎপাদন করেছেন। এখানে রপ্তানি বাজারও ভালো। কিন্তু আসল ব্যাপার হলো এখানে শ্রমিক মিলছে না। এখানকার শ্রমিক শুধু বাগান থেকে কমলালেবু তুলে দৈনিক ছয় ঘণ্টা কাজ করে (সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা) ৪০০ মার্কিন ডলার আয় করতে পারে। সপ্তাহে তা দাঁড়াবে দুই হাজার ডলার। রফতানি শিল্পেও আয় বাড়বে। কিন্তু কমলালেবু মাটিতে পড়ে নষ্ট হয়ে গেলে লাভের সম্মুখীন কেউ হবে না।
জানা যায়, দেশটিতে শুধু যে কৃষিক্ষেত্রে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে তা নয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটির প্রাকৃতিক সম্পদের উৎসেও শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। প্রারম্ভিক বেতন ৮০ হাজার ইউরো ও সাইনিং বোনাস ৭ হাজার ঘোষণা দিয়েও খনি কোম্পানিগুলো শ্রমিক পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।