অনুমতি না নিয়ে হজের চেষ্টা করায় ৩০০ হজযাত্রীকে আটক করা হয়েছে। শাস্তি হিসেবে তাদের জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (৪ জুলাই) সৌদি আরবের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর ডনের।
লাখ লাখ হাজযাত্রীর পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সৌদির পবিত্র নগরী মক্কা। আগামী বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সাদা পোশাক পরে কয়েক হাজার মানুষ মিনার উদ্দেশে যাত্রার মাধ্যমে শুরু করবেন পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে আরাফাতে তাবুর কাজ।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এ বছর বিশ্বের ১০ লাখ মানুষ নিয়ে হজ পালনের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি সরকার। সাধারণ সময়ের তুলনায় যা অর্ধেকেরও কম। এছাড়া ১৮-৬৫ বছর বয়সী সুস্থ ব্যক্তিরা যাদের সবাই করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন কেবল তারাই হজ পালন করতে পারবেন। কোনো ঝামেলা ছাড়াই হজের মৌসুম শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি।
কিন্তু এরই মধ্যে অনুমতি ছাড়া হজ করার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে হজের নিরাপত্তায় থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ আল বাসামি জানান, হজের নিয়মকানুন লঙ্ঘনের অভিযোগে এখন পর্যন্ত ২৮৮ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমান করা হয়েছে।
এদিকে, এ বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৫৮ হাজার ১১৮ জন যাত্রী। সোমবার (৪ জুলাই) পর্যন্ত ৩১ দিনে ১৬০টি ফ্লাইটে সৌদি আরবে পৌঁছান তারা।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইটি হেল্প ডেস্কের হজের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
হজ প্রতিদিনের বুলেটিনে বলা হয়, সৌদি আরবে যাওয়া বাংলাদেশি হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার চার হাজার ৮৯ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৫৪ হাজার ২৯ জন রয়েছেন। ১৬০টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৮৭টি, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৬১টি এবং ফ্লাইনাস পরিচালিত ১২টি ফ্লাইট রয়েছে।
হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু আগামী ১৪ জুলাই, ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ৪ আগস্ট।