দেশে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৭ জনে। গত ১৭ মে থেকে সোমবার ৪ (জুলাই) দুপুর পর্যন্ত কবলিত এলাকায় বন্যাসৃষ্ট দুর্ঘটনা ও বিভিন্ন রোগে তাদের মৃত্যু হয়। সবচেয়ে বেশি ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে সিলেট বিভাগে।
সোমবার (৪ জুলাই) সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বন্যাজনিত বিভিন্ন রোগে ১১ হাজার ৬৬২ জন আক্রান্ত থাকলেও তা বেড়ে ১২ হাজার ৪৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
বন্যার শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৯৮০ জনের। এতে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২২ জন। এক্ষেত্রে কারও মৃত্যুর খবর নেই।
বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ জন, যাদের মধ্যে ১৫ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনের শিকার হয়েছেন ১৪ জন। তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৭ মে থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত বন্যায় রংপুর বিভাগে ১১, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৯, সিলেট বিভাগে ৫৬ জন ও ঢাকা বিভাগে ১ জনসহ মোট ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলাভিত্তিক মৃতের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সুনামগঞ্জ। ১৭ মে থেকে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে এখানে ২৮ জনের মৃত্যু হয়। সিলেট জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে মৃত্যুবরণ করেছে ৫ জন করে। নেত্রকোনায় ১৭ জন ও জামালপুরে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। ময়মনসিংহে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও শেরপুরে মারা গেছে ৭ জন, কুড়িগ্রাম ৪ জন ও লালমনিরহাটে ৭ জন। টাঙ্গাইলে মৃত্যুবরণ করেছে ১ জন।