পত্রিকার অনলাইন বা অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ বুলেটিন কিংবা টকশোর আয়োজন করা যাবে না বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, অনলাইনে সংবাদের সাথে ছোট্ট ভিডিও ক্লিপ যেতে পারে, কিন্তু আইন অনুযায়ী সংবাদ বুলেটিন কিংবা টকশো আয়োজন করা যায় না।
আজ রোববার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ফোরামের সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার এবং উপদেষ্টাদের মধ্যে ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শরিফ সাহাবুদ্দিন, বেলায়েত হোসেন ও সদস্যদের মধ্যে দুলাল আহমেদ চৌধুরী, মীর মনিরুজ্জামান, মফিজুর রহমান খান বাবু, রিমন মাহফুজ, নাজমুল আলম তৌফিক, জগদীশ চন্দ্র সরকার আলোচনায় অংশ নেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে কর্মরত সাংবাদিকদের একটি ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি হলে তালিকায় সাংবাদিক হিসেবে কার নাম আছে, আর কার নাম নেই সেটি বোঝা যাবে। সবাই সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেওয়া তখন কঠিন হয়ে যাবে।
এ সময় পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল দ্রুত পরিশোধের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সব সমস্যার সমাধান দিতে পারবো সেটি আমি বলবো না, কিন্তু আমার আন্তরিকতার কোনও অভাব নেই। আপনাদের সহযোগিতায় ইতোমধ্যে অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে, বাকিগুলোও সমাধান হবে।
ফোরামের উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ’সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা বজায় রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমাদের কাজ করে যেতে হবে। প্রিন্টিং প্রেসেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সংবাদপত্রের অনলাইন বা অনলাইন সংবাদপোর্টালে টকশো বা সংবাদ বুলেটিন সম্প্রচারের কোনও সুযোগ নেই।’
ফোরামের নেতারা এ সময় নামসর্বস্ব ও অনিয়মিত পত্রিকায় সরকারি বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র প্রদান বন্ধ ও মিডিয়া তালিকাভুক্তি বাতিল, বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল পরিশোধ, সংবাদপত্রগুলোর প্রচার সংখ্যা নির্ধারণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো, অপেশাদার সাংবাদিককে পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব না দেওয়া, সম্পাদক ফোরামের সদস্যদের ভিআইপি মর্যাদা প্রদান ও বিভিন্ন কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি ও পত্রিকার ডিক্লারেশন দেওয়ার ক্ষমতা তথ্য মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করাসহ ১০ দফা দাবি সংবলিত একটি পত্র মন্ত্রীকে হস্তান্তর করা হয়।