ঢাকা: ভোট চাইতে গেলে খালেদা জিয়াকে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রাজধানীর তোপখানা রোডের শিশু কল্যাণ ভবনে স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া গত তিন মাস ধরে ক্ষমতার লোভে সাধারণ জনগণের ওপর পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মানুষ হত্যা করেছেন। তারপর আবার নির্লজ্জের মতো মানুষের দ্বারে ভোট চাওয়ার জন্য ছুটছেন। এরপরও তার ভোট চাওয়ার অধিকার আছে কি-না তা জনগণ ভেবে দেখবেন।
আবার ভোট চাইতে গেলে তাকে প্রতিরোধ করার জন্য জনসাধারণকে অনুরোধ জানান তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতারা ও জোটের শরিকরা মাহী বি চৌধুরীকে সমর্থন করতে চেয়েছিলেন। তাবিথের শ্বশুর জামায়াতের কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য। তাই জামায়াতের চাপে ও আবদুল আউয়াল মিন্টুর অর্থের কারণে খালেদা জিয়া তাবিথকে সমর্থন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মিন্টুর টাকায় খালেদা জিয়া গত তিন মাস গাড়িতে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছেন। তিনি (খালেদা) যদি শুরুতে মির্জা আব্বাসের পক্ষে প্রচারণায় নামতেন, আমরা বুঝতে পারতাম মহানগর আহবায়কের পক্ষে নেমেছেন।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, যে বাস পুড়িয়ে খালেদা জিয়া মানুষ হত্যা করেছেন, সেই বাস প্রতীকে এখন ভোট চাইছেন। জামায়াতের চাপে ও মিন্টুর টাকার কাছে নতি স্বীকার করে তিনি তাবিথের মতো নাবালকের পক্ষে ভোট চাইছেন। নির্বাচনের পরে তিনি আবারও এ ধরনের জ্বালাও-পোড়াও করতে পারেন।
তিনি বলেন, সব নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসীদের ধরার জন্য সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ঢাকা ও চট্টগ্রামে গত তিন মাসে যারা পেট্রোল বোমা মেরেছে ও মানুষ হত্যা করেছে তারা মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমনকি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিরাও প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন এখনও এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কোনো নির্দেশনা দেয়নি। আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করবো, সন্ত্রাসীদের ধরার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়া যদি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন, তাহলে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো সরকারি সুযোগ-সুবিধা বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। এতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে। অন্যথায় এটা সরকারি দলের জন্য বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে।
সংগঠনের সভাপতি জিনাত আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।