ঢাকা: পদ্মা সেতু পার হতে গেলে ফেলে দেবেন কিনা আতঙ্কে আছি বলে জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ।
রোববার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শাজাহান খান বিএনপি নেতাদের পদ্মা সেতুতে না ওঠার পরামর্শ দেন।
পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের কথা তুলে ধরে শাজাহান খান বলেন, বিএনপি নেতারা এখানে আছেন। দয়া করে আপনারা পদ্মা সেতু পার হবেন না। আপনাদের নেত্রীর নির্দেশ অমান্য করবেন না।
পরে বাজেটের ওপর আলোচনাকালে এর জবাব দেন হারুন। তার আগে তিনি পদ্মা সেতু তৈরি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ ব্রিজ উদ্বোধন করেছেন। জনগণ আজ থেকে ব্রিজ পার হচ্ছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
হারুন বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের গৌরবের। নিজস্ব অর্থায়নে চেষ্টা করে সেতু করেছেন। এটা আমাদের গৌরবের। কিন্তু এটা নিয়ে তির্যক কথাবার্তা।
শাহাজান খানের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে হারুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদ্মা ব্রিজ উদ্বোধনের জন্য দাওয়াত দিলেন। সংসদে পদ্মা ব্রিজ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। প্রায় একশজন সংসদ সদস্য বক্তব্য দিয়েছেন। আজকে একজন সংসদ সদস্য-শাজাহান খান আমাদের বললেন পদ্মা ব্রিজে ওঠবেন না। প্রধানমন্ত্রী দাওয়াত দিচ্ছেন আর আরেকজন সংসদ সদস্য বলছেন পদ্মা ব্রিজে ওঠবেন না। তাহলে আমরা কী করবো? এখানে পাশে ফিরোজ রশীদ, পেছনে নিক্সন চৌধুরী আছেন। তারা আমাদের কয়েকদিন আগে দাওয়াত দিলেন। বললেন- উদ্বোধনের পরে আমাদের বাড়িতে যাবেন। দাওয়াত দিলাম।
এ সময় স্পিকারের দায়িত্বে থাকা সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্বের দাওয়াতকে গ্রহণ করতে হবে’। হারুন বলেন, একদিকে দাওয়াত দেবেন ওদিকে আরেকজন ভয় দেখাবেন। আমি তো আতঙ্কে আছি। পদ্মা সেতু পার হতে গেলে ফেলে দেবেন কিনা? ডুবিয়ে দেবেন কিনা? একটি ভয়ের মধ্যে আছি। হারুনের এ বক্তব্য দেওয়ার সময় সংসদে উপস্থিত সংসদ নেতা শেখ হাসিনাকে হাসতে দেখা যায়।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরে বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির এ এমপি বলেন, কাল দেখলাম একজন মন্ত্রী বক্তব্য দিচ্ছেন যে বিএনপির মন খারাপ পদ্মা ব্রিজ হওয়ার জন্য। না আমাদের মন খারাপ নয় স্পিকার। আমাদের মন কেন খারাপ হবে? আমরা আনন্দে আছি। আমরা মুজিববর্ষ পালন করলাম।
তিনি বলেন, পদ্মা ব্রিজ উদ্বোধন করলাম। কিন্তু গুম ও খুনের যে সংস্কৃতি হয়ে গেছে। আমরা এখন থেকে বেরুতে পারবো? ভোটের অধিকার যে হারিয়ে ফেলেছি সেটা কী পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারবো? প্রধানমন্ত্রীকে বলবো এদিকে দৃষ্টি দেন।