ফেনীর দাগনভুঞায় শিশু শ্রেণির ছাত্রী আফরা হত্যা মামলায় গ্রেফতার একমাত্র আসামি আনোয়ার হোসেন স্বপন পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে দাগনভুঞা থানায় মামলা করেন।
মামলার আগেই গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আনোয়ার হোসেন স্বপনকে ঘটনার পরপরই আটক করে পুলিশ।
রোববার (২৬ জুন) বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেনীর দাগনভুঞা থানার উপপরিদর্শক আসামি স্বপনের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালত-২ এ তোলেন।আদালতের বিচারক কামরুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় স্বপনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আনোয়ার হোসেন স্বপন ফেনীর দাগনভুঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ নেয়াজপুর গ্রামের মৃত কবির আহম্মেদের ছেলে। আফরা একই গ্রামের বক্সআলী ভূঞা বাড়ির ওসমান গনির মেয়ে ও নেয়াজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৫ জুন) ক্লাসের ফাঁকে আফরা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে টয়েলেটে যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যায়ল সংলগ্ন কবরস্থানের ঝোপের ভেতর একটি গাছে আফরার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, এ মামলার একমাত্র আসামি স্বপন আদালতকে জানান, সে আফরাকে বিদ্যালয়ের টয়েলেট থেকে টেনে নিয়ে পাশের জঙ্গলে পাশবিক নির্যাতন (ধর্ষণ) করে। এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার ভয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পরে মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের তথ্য মতে, শিশু আফরার যৌনাঙ্গ ছিন্নভিন্ন ছিল। স্বপন একজন বিকৃত রুচির বখাটে। তার মোবাইল ফোনে অসংখ্য যৌন ভিডিও সংরক্ষিত ছিল।