মো. সাজ্জাত হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাজীপুরের কালীগঞ্জে পরিত্যক্ত ঘর থেকে নাদিম মোড়ল নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসি শারফুদ্দিন মোড়লের পরিত্যক্ত বাড়িতে। নিহত ওই যুবক একই গ্রামের খোরশেদ আলম মোড়লের ছেলে। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রবিবার (২৬ জুন) দুপুরে নিহত ওই যুবকের ঝুলন্ত উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নাদিম ৮ মাস আগে প্রতিবেশী ময়েজ উদ্দিনের মেয়ে নুসরাত জাহানকে প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিন মাস তাদের সংসার ভালোই কাটছিল। পরবর্তীতে মেয়ের পরিবারের লোকজনের চাপের মুখে দেড় মাস আগে নাদিমকে ডির্ভোস দেয় নুসরাত। এদিকে রবিবার নুসরাতকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার দিন দার্য্য করে তার পরিবার। নিহতের পারিবারের লোকজনদের দাবী নুসরাতের বিয়েতে যেন নাদিম ডিস্টার্ব করতে না পারে, সে জন্য তাকে বিভিন্ন লোকমারফত হুমকি দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নুসরাত জানান, প্রেম করে নাদিমের সাথে বিয়ে হয় ঠিকই কিন্ত বিয়ের ২০-২৫ দিন পর থেকেই সে নেশা জাতীয় নানা কিছু সেবন করে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ্য হয়ে তাকে ডিভোর্স দিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসি।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. শামীম আহমেদ বলেন, পরিত্যক্ত ঘর থেকে গলায় উড়না পেচাঁনো ঝুলন্ত অবস্থায় নাদিম মোড়লের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের প্রাথমিক সুরত হাল প্রতিবেদন তৈরী করে লাশের ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ছেলেটা মেয়েটাকে অনেক ভালোবাসতো। মেয়েটা চলে যাওয়ার পর থেকে সে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এদিকে মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার কথা শুনে সইতে না পেরে সে আত্মঃহত্যা করেছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।