প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছেন। এরপরই পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সেতুর ওপর উঠে পড়েন উৎসুক জনতা। পরে পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেতুর ওপরে ওঠা সবাইকে সরিয়ে দেন।
সেতু কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, পদ্মা সেতু হেঁটে পার হওয়া বা সেতুতে থামা যাবে না। তবে আবেগ আর উচ্ছ্বাসে সে নির্দেশনা মানেননি অনেকে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা বলেন, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উৎসুক কিছু জনতা সেতুর ওপরে উঠে পড়েন। পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সেতু থেকে নামিয়ে দেয়।
আজ শনিবার দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে টোল প্লাজা সংলগ্ন উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন তিনি। পরে তিনি মোনাজাতে অংশ নেন।
দুপুর ১২টা ০৬ মিনিটে সেতু দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর জাজিরার অভিমুখে রওয়ানা হয়। এর আগে বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে নিজহাতে নির্ধারিত টোল দেন প্রধানমন্ত্রী।
সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে মুন্সীগঞ্জের দোগাছি পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়া-১ এ পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে পদ্মা সেতুর উত্তর থানা সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। সমাবেশে অংশ নেন সাড়ে তিন হাজার সুধীজন। যাদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিশিষ্ট নাগরিক ও সাংবাদিকরা।