বাঙালির স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন আজ। সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে গেছে পদ্মাপারে। উভয়পারে সাজসাজ রব। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া, শরীয়তপুরের জাজিরা ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা এলাকা ব্যানার-ফেস্টুনে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সড়কের দুই পাশে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো আলোকিত করা হয়েছে নিয়ন আলোয়। এসব এলাকার মানুষের মধ্যেও একরকম উৎসবের আমেজ বয়ে যাচ্ছে। তাদের এলাকায় দেশের টাকায় নির্মিত সবচেয়ে বড় অবকাঠামো নির্মাণ হওয়ায় তারা গর্বিত। গতকাল মাওয়া, জাজিরা ও শিবচর এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় এসব চিত্র। জাজিরা প্রান্তে মূল জনসভাস্থলটিকে একেবারে ঢেলে সাজানো হয়েছে। এখানে মূল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে পদ্মা সেতুর স্প্যানের আদলে। এই মঞ্চে দাঁড়িয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বক্তৃতা দেবেন। আশা করা হচ্ছে- এখানে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম ঘটবে। এই বিশালসংখ্যক মানুষের আগমন উপলক্ষে পুরো সভাস্থল প্রস্তুত করা হয়েছে। সভাস্থলে কয়েকটি ভাগ করে মানুষকে বসতে দেওয়া হবে। এ জন্য বাঁশ দিয়ে আলাদা করে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিন গতকাল বিকালে দেখা গেছে, শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা ও শিবচরের কাঁঠালবাড়ির জনসভাস্থল প্রস্তুত। সংশ্লিষ্টরা জানান, মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেতু পেরিয়ে তিনি আসবেন জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজায়। সেখানে কয়েকটি স্থাপনার উদ্বোধন শেষে শিবচরের কাঁঠালবাড়িতে গিয়ে জনসভায় ভাষণ দেবেন। এরই মধ্যে ওই এলাকায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলামের ছবি ও ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। আরও লাগানো হয়েছে পদ্মা সেতু প্রকল্প কাজের বিভিন্ন সময়ের কর্মকর্তাদের পরিদর্শনের ছবি।
এ ছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও পাল্লা দিয়ে কয়েক হাজার ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড সাঁটানো হয়েছে। পাশাপাশি নির্মাণ করা হয়েছে সহস্রাধিক তোরণ। এসব এলাকায় টহল দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যরা। এসব এলাকাও নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং চোখে পড়ছে বড় বড় তোরণ আর আলোকসজ্জায়। নগরীর ১০ উপজেলার ২ স্থানে বড় পর্দায় দেখানো হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এ ছাড়া মাদারীপুরের পাশের জেলা ফরিদপুরেও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রয়েছে দুদিনের নানা আয়োজন। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত থাকবে লোকজ মেলাসহ নানা আয়োজন।