আগামী শনি (২৫ জুন) ও রোববার (২৬ জুন) বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কম থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। সোমবার (২৭ জুন) থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
আগামী তিন দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
শুক্রবার (২৪ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে সারা দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় মাদারীপুরে সর্বোচ্চ ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া টেকনাফে ২৬ ও সন্দ্বীপে ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এ সময় ঢাকায় ১ মিলিমিটার ও সিলেটে সামান্য বৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শুক্রবার রাঙ্গামাটিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দমমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ বিহার, পশ্চিম বঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তরপূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
ঢাকায় শুক্রবার সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে এবং শনিবার সূর্যোদয় ভোর ৫টা ১২ মিনিটে।