কয়েক দিন আগে বিনোদনপাড়ায় আলোচনা ছিলেন মৌসুমী, ওমর সানী ও জায়েদ খানের নাম। বিভিন্ন জন তাদের নিয়ে বলেছেন নানা কথা। জায়েদ খানের ওপর ওমর সানী চড়াও হলেও মৌসুমী জায়েদকে দিয়েছিলেন ভালো মানুষের তকমা। কথা উঠেছে এ নিয়েও। তবে সে ইস্যু অনেকটাই ধামাচাপা পড়লেও মৌসুমীর নতুন এক কথা নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। সে কথায় অভিমানের অস্তিত্ব খুঁজছেন অনেকেই।
বৃহস্পতিবার মৌসুমী তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘লুকিয়ে থাকতে চাইলেই লুকিয়ে থাকা যায়। সামনে যেটা থাকে সেটা শরীর। আমি এখন শামুকের মতো হয়ে গেছি। আড়াল করে নিজেকে নিয়ে আছি, এটাই স্বস্তি।যখন দিনের আলো দেখার সুযোগ হয়, নিজেকে বেমানান লাগে।’
মৌসুমী তার স্ট্যাটাসে কথা বলেছেন সিলেটের বানভাসি মানুষের কথাও। তিনি লেখেন, ‘সিলেটবাসীর কাছে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে। হয়তো সুযোগ হলে যাব, আপনারা সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন।’
মৌসুমীর সাম্প্রতিক করা ইনস্টগ্রামের পোস্টে এমন অভিমান, চাপা ক্ষোভ ফুটে উঠছে।
অন্যদিকে, সামাজিক ও গণমাধ্যমে বক্তব্য এসেছে তার স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানীর। তিনি জানান, এখন বেশ ভালো আছেন তারা। সবার দোয়া ও ভালোবাসায় সব অভিমান মিটে গেছে। একই ছাদের নিচে ও ঘরে বসবাস করছেন মৌসুমী ও সানী।
তবে মৌসুমীর এমন পোস্ট অনেক কিছুই ভাবাচ্ছে তার ভক্তদের। আসলেই কি ভালো আছেন এই তারকা দম্পতি?
গত কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জন চলেছে ওমর সানী-মৌসুমীর সংসার ভাঙনের। তা আরও জোরদার হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে সানীর দেওয়া অভিযোগপত্রে। তিনি জানান, চিত্রনায়ক জায়েদ খান তাদের ২৭ বছরের সুখের সংসার ধ্বংস করে দিচ্ছেন।
এই কারণেই এর আগে অভিনেতা-প্রযোজক ডিপজলের ছেলের বিয়েতে বাধে সংঘর্ষ। সানী চড় মারেন জায়েদ খানকে। অভিযোগ আছে, জায়েদ খানও পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন সানীকে। চড় মারার কারণ হিসেবে সানী দাবি করেন, গত চার মাস ধরে জায়েদ মৌসুমীকে ডিস্টার্ব ও অসম্মান করছে।
তবে মৌসুমীই উল্টো জানিয়ে দেন, জায়েদ খান ভালো ছেলে। এটা সানী ও তার দাম্পত্যের ভুল বোঝাবুঝি। এরপর থেকেই সানীর দিকে আঙুল তুলেছেন অনেকে।
তবে ১৬ জুন মধ্যরাতে সানী একটি ছবি প্রকাশিত করেন। যেখানে একসঙ্গে বসে খাচ্ছেন মৌসুম ও তিনি। এরপরই সানী জানিয়েছিলেন তারা ভালো আছেন।