ফুটবলে ১০ নম্বর জার্সির আলাদা একটা আবেদন আছে। সাধারণত দলের সেরা তারকার গায়েই শোভা পায় নাম্বার টেন জার্সি। লিওনেল মেসি-নেইমাররা মাঠ কাঁপান ১০ নম্বর জার্সিতে। পেলে -ম্যারাডোনারাও মাঠ মাতিয়েছেন এই ১০ নম্বর জার্সি পরে। ব্রাজিলের ১০ নম্বর জার্সি পরে এখন খেলে থাকেন নেইমার জুনিয়র। তবে তার অবসরের পর এই জার্সির উত্তরসূরি খুঁজে রেখেছেন খোদ নেইমার নিজেই।
ব্রাজিলের ১০ নম্বর জার্সির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বা ঐতিহ্যের কথা আলোচনা করতে গেলে হাজার রজনীর আরেক ‘আলিফ লায়লা’ রচিত হয়ে যাবে হয়তো। ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হয়ে মাঠ মাতানো তারকা কম নেই। সেরাদের সেরার গায়েই উঠেছে ১০ নম্বর জার্সি। পেলে, জিকো, রিভালদো, কাকাদের মতো বিশ্বসেরাদের গায়ে শোভা পেয়েছে এই জার্সি।
৩০ বছর বয়সী নেইমার এখন বয়ে বেড়াচ্ছেন ১০ নম্বর জার্সির ভার। কিন্তু তিনি নিজেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখছেন ফুটবল ক্যারিয়ার আর হয়তো বেশিদিন ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করবেন না। তাই এখন থেকেই জল্পনা -কে হবে ব্রাজিলের পরবর্তী ১০ নম্বর জার্সিধারী?
নেইমার নাকি সেটা ঠিক করে রেখেছেন এর মধ্যেই। এমনটাই দাবি রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ ফরোয়ার্ড রদ্রিগো গোয়েসের। তিনি জানিয়েছেন, নেইমার অবসরের পর ১০ নম্বর জার্সি তার গায়েই দেখতে চান।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এই মৌসুমটা দারুণ কাটানো রদ্রিগো জিতেছেন লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা। রিয়াল মাদ্রিদের ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ের পথে রদ্রিগোর অবদান কম নয়। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ যখন দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে তখন জোড়া গোল করে লস ব্লাঙ্কোসদের ফাইনালের টিকেট এনে দেন এই ব্রাজিলিয়ানই।
ব্রাজিলের হয়ে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলা তারকায় মুগ্ধ নেইমার। তার মতো রদ্রিগোর উত্থানও পেলের ক্লাব স্যান্তসে। নিজের সাবেক ক্লাবের আরেক তারকার গায়েই নেইমার দেখতে চান ১০ নম্বর জার্সি।
পডপাহ ইউটিউব চ্যানেলে গত শুক্রবার এক আলাপচারিতায় রদ্রিগো বলেন, ‘নেইমার আমাকে বলেছিলেন -আমি যখন জাতীয় দল ছাড়ব তখন ১০ নম্বর জার্সিটি হবে তোমার।’ এর জবাবে আমি তাকে কী বলব তা বুঝতে পারছিলাম না। আমি বিব্রত হয়েছিলাম, আমি হেসে দিয়েছিলাম এবং ঠিক কি বলতে হবে তা জানা ছিল না।’
তবে দলের প্রাণভ্রমরার এমন কথায় হকচকিয়ে যান ২১ বছর বয়সী রদ্রিগো। তিনি নেইমারের কথার প্রেক্ষিতে বলেন, ‘আমি তাকে বলেছিলাম যে, তাকে আরও কিছুদিন খেলতে হবে। কারণ, তিনি এখনই তা করুক, আমি এটা তা চাই না। এরপর তিনি হেসেছিলেন।’
রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে সদ্যসমাপ্ত মৌসুমে ৪৯ ম্যাচ খেলে ৯ গোল করেন রদ্রিগো। অবশ্য এর অধিকাংশ ম্যাচেই তিনি নেমেছিলেন বদলি হিসেবে। ক্লাবের হয়ে ভালো পারফর্ম করায় কাতার বিশ্বকাপের স্কোয়াডে তার জায়গা বলতে গেলে নিশ্চিতই। অন্যদিকে নেইমার আছেন ব্রাজিল জাতীয় দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। ৭৪ গোলের মালিক নেইমার আর চার গোল পেলেই ছাড়িয়ে যাবেন ৭৭ গোল করা পেলেকে।