আজ শুক্রবার বিকেলে নূরুল ইসলামের যোগদান উপলক্ষে উপজেলা সদরের ভবানীগঞ্জের বঙ্গবন্ধু জাদুঘর কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে শতাধিক অনুসারী উপস্থিত ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের উপজেলা ও মাড়িয়া ইউনিয়ন শাখার পক্ষ থেকে দলে নবাগতদের গলায় ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
তাঁদের বরণ করে নেওয়ার পর আওয়ামী লীগের উপজেলা শাখার জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মতিউর রহমান বক্তৃতা করেন। তিনি দলের আদর্শ মেনে কাজ করার জন্য নবাগতদের প্রতি আহ্বান জানান।
মওলানা নূরুল ইসলাম উপজেলার ভবানীগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি দীর্ঘদিন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ছিলেন। আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আদর্শ ও কাজ ভালো লাগে, তাই যোগ দিয়েছি। যত দিন বেঁচে থাকব, তত দিন আওয়ামী লীগই করব।’ তবে তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার পেছনে ভিন্ন কোনো কোনো উদ্দেশ্য নেই।
নূরুল ইসলামের দলে যোগ দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, জামায়াতের ও আওয়ামী লীগের আদর্শ বিপরীত। এ মুহূর্তে তাঁদের দলে নেওয়া ঠিক হয়নি।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের উপজেলা শাখার জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মতিউর রহমান বলেন, জামায়াতে অনেকে ভালো লোক আছেন। খোঁজখবর নিয়েই তাঁকে দলে নেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জামায়াতের উপজেলা শাখার আমির সিরাজ উদ্দিন বলেন, এক বছর ধরে মওলানা নূরুল ইসলামের সঙ্গে তাঁদের সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই। যেহেতু তিনি রাজনীতি করা লোক, তাই আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।
সূত্র প্রথমআলো