চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে পারে ২০২২ সালের পবিত্র হজ। এরই মধ্যে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ১৩ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি হজযাত্রী। ইবাদত বন্দেগি আর ইসলামের ঐতিহাসিক স্থানগুলো জিয়ারতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন হাজিরা।
সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হজ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে দিনরাত কাজ করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছর সারা বিশ্বের ১০ লাখ মুসল্লি পবিত্র হজে অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এরমধ্যে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জনসহ মোট ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাবেন।
৫ জুন থেকে শুরু হওয়া হজ যাত্রা চলবে ৩ জুলাই পর্যন্ত। এরই মধ্যে ১৩ হাজারেরও বেশি হজযাত্রী সৌদিআরবের মক্কা এবং মদিনায় পৌঁছেছেন। দেশটিতে আসা হজ যাত্রীরা মক্কা এবং মদিনায় ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে ব্যস্ত সময় সময় পার করছেন।
হজ মেডিকেল টিমের ডাইরেক্টর ডাক্তার বেলাল হোসেন বলেন, ওষুধপত্র রাখার জন্য আমাদের যে স্টোররুম দরকার সেটা তৈরি করা হয়েছে। পুরুষদের জন্য দুইটি এবং নারীদের জন্য একটি পৃথক অবজারভেশন ওয়ার্ড রেখেছি।
হাজিরা যেন নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারেন সেজন্য কাজ করছে সৌদি আরবের বাংলাদেশ হজ অফিসগুলো। তারা কোনো ধরনের প্রতারণার শিকার হলে সৌদি প্রশাসন এবং বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয় কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় হজ কাউন্সিলর।
বাংলাদেশ হজ অফিস মক্কার কাউন্সিলর মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা সবাইকে নিয়ে প্রস্তুত আছি হজযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়ার জন্য।
হজের আনুষ্ঠানিকতা পালনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে এক লাখের বেশি নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করার কথা জানিয়েছে সৌদি সরকার। এরইমধ্যে মক্কার বাসিন্দা এবং হজের অনুমতিপত্র ছাড়া অন্য সবার জন্য মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। তবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজে মক্কার বাইরে থেকে কেউ আসতে চাইলে থাকতে হবে অনুমতিপত্র বা তাসরিয়া।