খল অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বড় ছেলে সৌমিকের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে চড় মেরেছেন চিত্রনায়ক ওমর সানী। বিপরীতে জায়েদ খান পিস্তল বের করে গুলির হুমকি দিয়েছেন সানীকে।
এ ঘটনায় জায়েদ খানের বিরুদ্ধে আজ রোববার রাতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওমর সানী।
ওমর সানী বলেন,‘আমি সব সময় আমার যেকোনো সংকটে চলচ্চিত্রের মুরব্বিদের পরামর্শ নেই। তারা যা বলেন সেভাবে সবাইকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
শিল্পী সমিতির সভাপতির কাছে দেওয়া চিঠিতে ওমর সানী লিখেছেন,‘আমি ওমর সানী অত্র সমিতির একজন সদস্য এবং সাবেক কমিটির সহ সভাপতি ছিলাম। দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, সমিতির সদস্য জায়েদ খান চার মাস ধরে আমার স্ত্রী আরিফা পারভীন জামান মৌসুমীকে নানাভাবে হয়রানি ও বিরক্ত করে আসছে। আমার সুখের সংসার ভাঙার জন্য বিভিন্ন কৌশলে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে আসছে। এ ব্যাপারে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়ে বারবার বোঝানো চেষ্টা করেছি। তার প্রমাণ আমার এবং আমার ছেলের কাছেও আছে। তাছাড়া মুরুব্বি হিসেবে আমি ডিপজল ভাইয়ের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছি। কিন্তু ওই বিষয়ের কোনো সমাধান হয়নি। ডিপজল ভাইয়ের ছেলের বিয়েতে জায়েদ খানের সাথে দেখা হলে এ বিষয়ে সংযত হওয়ার জন্য আমি অনুরোধ করি। এতে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং হঠাৎ করে তার পিস্তল বের করে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে,‘ আমি মনে করি এমন একজন পিস্তলধারী সন্ত্রাসী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য থাকতে পারে না। উল্লেখিত বিষয়ে বিশেষভাবে বিবেচনা করে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি বিনীত অনুরোধ করছি।’
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে ডিপজল বলেন,‘ওমর সানী ও জায়েদকে আমিই অনুষ্ঠানে অভ্যর্থনা জানিয়েছি। যদি ধরেও নিই তাদের মধ্যে কোনো মনোমালিন্য রয়েছে, তাহলে কি তারা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে এমন ঘটনা ঘটাবে? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? তারা তো শিল্পী, তারা জানে কোথায় কী ধরনের আচরণ করতে হয়। ফলে পুরো বিষয়টিই ভিত্তিহীন ও অসত্য।’