যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রোসপারিটিতে (আইপিইএফ) যোগ দিলে বাংলাদেশ লাভবান হবে কিনা তা বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
আইপিইএফ নিয়ে চীনের আপত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা এই ফোরামে যোগ দেবে কিনা, তা নিয়ে বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষণ থাকতে পারে। আমরা অন্যদের কাছ থেকে পরামর্শ নেব। তবে যা করবো তা আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের জন্য কখনোই আপস করেন না। জাতীয় স্বার্থে তার দৃঢ় অবস্থানের সবচেয়ে বড় উদাহরণ পদ্মা সেতু। আমরা খুব খুশি যে আমাদের শক্তিশালী নেতৃত্ব রয়েছে। আমরা দেশের ভালোর জন্য যা করতে পারি তাই করবো।
তিনি বলেন, আইপিইএফ চারটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছে। সেগুলো হলো- সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখা, তথ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অবাধ ও ন্যায্য বাণিজ্য। আমরা বিষয়গুলো বিবেচনা করছি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এশিয়া নীতির অংশ হিসেবে আইপিইএফে গঠন করা হচ্ছে। এ অঞ্চলে চীনের আগ্রাসী প্রভাব কমাতে নতুন এই বাণিজ্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত মে মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে পাশে রেখে এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন নতুন এই অর্থনৈতিক বলয়ের ঘোষণা দেন। এই জোটের অন্য নেতারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন।
সে সময় জো বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ অন্য ১১টি দেশ নিয়ে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রসপারিটি’ সংক্ষেপে আইপিইএফ গঠিত হবে। ২১ শতকে অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা নিশ্চিত করতে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে এই ফ্রেমওয়ার্ক বদ্ধপরিকর।