প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ২য় ধাপের ফল প্রকাশ

Slider শিক্ষা


ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) রাতে ফল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

দ্বিতীয় দফায় লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ২৯ জেলার মোট ৫৩ হাজার ৫৯৫ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd- এ পাওয়া যাচ্ছে।
ফলাফলের নির্দেশনায় বলা হয়, এই ফলের ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রার্থীরা কেবল মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এ ফল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাত ভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২০’-এর কোনো শূন্য পদে নিয়োগের জন্য কোনো নিশ্চয়তা প্রদান করে না।

প্রকাশিত ফলের যেকোনো পর্যায়ে কোনো প্রকার ভুল-ভ্রান্তি/ত্রুটি-বিচ্যুতি/মুদ্রণজনিত ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে, তা সংশোধন করার বা প্রয়োজনবোধে সংশ্লিষ্ট ফল বাতিল করার এখতিয়ার কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।

মৌখিক পরীক্ষার জন্য মনোনীত প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদনের সময় আপলোড করা ছবি, আবেদনের কপি, লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র, নাগরিকত্ব ও স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ পোষ্য সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কমপক্ষে ৯ম গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে। সত্যায়িত কাগজপত্র ১৮ জুনের মধ্যে স্ব স্ব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবশ্যিকভাবে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সব সনদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি (সত্যায়িত) জমা দেওয়ার সময় ওইসব কাগজপত্রের মূল কপি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে দেখাতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের ১৮ জুনের মধ্যে কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের মৌখিক পরীক্ষার কার্ড দেওয়া হবে না।

মৌখিক পরীক্ষার সময় এসব কাগজপত্রের মূল-কপি সঙ্গে আনতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে এবং তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

জানা গেছে, প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা গত ২০ মে ২৯টি জেলায় অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় ধাপে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১০০ জন। আর তৃতীয় ও শেষ ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ৩ জুন। এ ধাপে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *