বাংলাদেশ ও ভারতে সন্ত্রাসী হামলার হুমকি দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে আন্তঃদেশীয় জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। গত ৫ জুন আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার (একিউআইএস) পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই হুমকি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বাংলাদেশে যারা ইসলাম ধর্মকে অপমান করার সাহস দেখিয়েছে, তাদের হত্যার আহ্বান জানানো হয়। ব্লগার অনন্ত বিজয় ও শাফিউল ইসলামকে হত্যায় অভিযুক্ত সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের নিন্দা জানায় নিষিদ্ধ সংগঠনটি।
একিউআইএসের বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারকে হিন্দুত্ববাদ এবং তাগুতের আজ্ঞাবহ প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত জঙ্গিকে নির্দোষ দাবি করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ইসলামবিদ্বেষীদের বিচারের আওতায় আনেনি; এর পরিবর্তে নিরপরাধ ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এই নিরপরাধ ব্যক্তিরা একিউআইএসের মুজাহিদিন ছিলেন, যারা ইসলামের অবমাননাকারীদের হত্যা করেছে।
বাংলাদেশকে হুমকি দেওয়ার ঠিক পরের দিন একিউআইএস আরেক বিবৃতিতে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতেও হামলার হুমকি দিয়েছে। হুমকির এই চিঠি তারা ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠিয়েছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স)কে নিয়ে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী নূপুর শর্মা আপত্তিকর ও বিতর্কিত মন্তব্য করায় এই হুমকি দেওয়া হয়। এতে ভারতের রাজধানী দিল্লি, মুম্বাই, গুজরাট এবং উত্তরপ্রদেশে আত্মঘাতী হামলা চালানো হবে বলে জানিয়েছে আল কায়েদা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, যারা ইসলামের মহানবীকে অপমান করে, তাদের আমরা শেষ করে দেব। তাদের উড়িয়ে দিতে আমাদের বা আমাদের সন্তানদের দেহের সঙ্গে বেঁধে দেব বিস্ফোরক। দিল্লি, মুম্বাই, গুজরাট এবং উত্তরপ্রদেশে গেরুয়া সন্ত্রাসবাদীরা তাদের শেষ সময়ের জন্য অপেক্ষা করুক।
এদিকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পকদের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস এক খবরে জানিয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশে হামলার হুমকির পেছনে সম্ভবত পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসীদের হাত আছে। কারণ নূপুর শর্মার বিতর্ক ঘিরে গত কয়েকদিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিশ্লেষণ ইঙ্গিত দেয়, এই এজেন্ডা পাকিস্তান থেকে চালিত হয়েছে। এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ভুয়া টুইটার অ্যাকাউন্ট এবং বট।