বিশ্বকাপের বলটি দেখেই যেন শৈশবে ফিরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বর্ণে মোড়ানো ট্রফিটির সামনে বল নিয়ে ছবি তুললেন। শিশুর মতো সরল হাসি তো ছিলই।
স্বপ্নের ফুটবল বিশ্বকাপ ট্রফি এখন বাংলাদেশে। রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাচ্ছে ফুটবল রোমান্টিকদের মনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সে স্বপ্নের সঙ্গে শামিল হলেন। জাতীয় সংসদ ভবনের লবিতে গতকাল ‘ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি’বরণ উপলক্ষে আগত প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফুটবল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্বকাপ ট্রফি দেখে তরুণ প্রজন্ম উৎসাহিত হবে।
পরে ফিফা এবং কোকাকোলার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া সাচিব মেজবাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি প্রদর্শন করা হয়। গতকাল বিকেলে বিশ্বকাপ ট্রফির প্রতিনিধি দলসহ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন এবং ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফিটি প্রদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধিদের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি তার পরিবারের সদস্যদের খেলাধুলায় বিশেষ করে ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার ওপর স্মৃতিচারণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন তার পিতামহ, পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ভাই, সন্তান এমনকি নাতি-নাতনিও অত্যন্ত ক্রীড়ামোদী এবং ক্রীড়াবিদ। এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ট্রফির আগমনে ফিফা, কোকাকোলা এবং বাফুফে কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ফিফা ট্রফির বাংলাদেশ ভ্রমণের ফলে দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম উৎসাহিত হবে। তিনি বলেন, ‘ফুটবল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।’
সর্বশেষে, ফিফা এবং কোকাকোলার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- মো. জাহিদ আহসান রাসেল, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী; খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব (সিনিয়র সচিব); মেজবাহ উদ্দিন, যুব ও ক্রীড়া সাচিব, কাজী মো. সালাউদ্দীন, সভাপতি, বাফুফে; মো. আবু নাইম সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক, বাফুফেসহ ফিফা, কোকাকোলা এবং বাফুফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।