ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেছেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কে জিতবে না জিতবে তা আমাদের মাথাব্যথা না।’
মার্কিন এ কূটনীতিকের আশা, এবারে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক সমঝোতা হবে।
আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন আগের চেয়ে স্বচ্ছ হবে। আমি বলেছি, আমেরিকার মতো আমাদের নির্বাচন অতো স্মুথ নয়। একটু টার্বুলেন্স হয়।’
আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন সিইসি ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, পুরো নির্বাচন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, সরকার, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম ও জনগণেরও ভূমিকা রয়েছে।
নির্বাচন আয়োজনে আপনাদের কোনো পরামর্শ ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই নয়, এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নেই। এটি নির্বাচন কমিশন এবং পুরো বাংলাদেশীদের ব্যাপার। এটা আমাদের বিষয় নয়।’
কমিশনের সাথে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি তিন মাস হলো। এর আগে আমি দুই-তিন জায়গায় দেখা করেছি। তার অংশ হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের সাথে দেখা করেছি। বাংলাদেশে কী হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এর অংশীদার হতে পারে তা বোঝার চেষ্টা করছি।’
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘প্রথমত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ওনাদের কোনো বার্তা নেই। এটা ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। তিনি আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন নতুন সিইসি হিসেবে। সব ক্ষেত্রে আমার সাফল্য কামনা করেছেন। তিনি ও তার সরকারের তরফ থেকে কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে করবেন বলে জানিয়েছেন, এটা একটা সৌজন্যতা।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন সম্পর্কে আসলে উনি তেমন কিছু আলোচনা করেন নাই। কেমন ফিল করি, আমি বলেছি, আমেরিকার মতো আমাদের নির্বাচন অতো স্মুথ নয়। একটু টার্বুলেন্স হয়। ওইদিক থেকে আমরা প্রস্তুত। আমরা আশা করি সব সংস্থা (সরকারি) থেকে সহযোগিতা পাবো এবং নির্বাচন সফল হবে। নির্বাচন ফেয়ার করার চেষ্টা করবো। আগের চেয়ে অনেক স্বচ্ছ নির্বাচন হবে।’
তিনি বলেন, ‘সম্ভব হলে ভোটিং কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা দেবো। এতে নজরদারি সহজ হবে। সরকারও আশা করি হেল্প করবে। আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে একটা ভালো নির্বাচন করার চেষ্ট করবো।’
অপর প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘কোনো চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়নি। উনি যেটা ফিল করছেন, দলগুলোর মধ্যে ধীরে ধীরে আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হবে। হয়তো দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হবে, দলগুলো বুঝবে।’
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না, জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে বলেছি। উনি চেয়েছেন যে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে ভালো হয়। আমরা বলেছি, দলগুলোর সাথে বসবো। কীভাবে অংশগ্রহণমূলক হয়, তাদের সাথে আলোচনা হলে হয়তো পথ বেরিয়ে আসবে।’