মহানবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)কে নিয়ে বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জের এবার হামলার হুমকি পর্যন্ত পৌঁছালো। জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, বিজেপি নেত্রীর এই চূড়ান্ত, বিতর্কিত, মুসলিমবিদ্বেষী মন্তব্যের প্রতিবাদে তারা ভারতের চার রাজ্যে আত্মঘাতী হামলা চালাবে।
চিঠিতে ‘মহানবীর সম্মান রক্ষার্থে লড়াই’ উল্লেখ করে লেখা হয়েছে – ‘যারা আমাদের নবীকে অপমান করে তাদের আমরা শেষ করে দেব। তাদের উড়িয়ে দিতে আমাদের বা আমাদের সন্তানদের দেহের সঙ্গে বিস্ফোরক বেঁধে দেব। দিল্লি, মুম্বই, গুজরাট এবং উত্তরপ্রদেশে গেরুয়া সন্ত্রাসবাদীরা তাদের শেষের জন্য অপেক্ষা করুক।’
চিঠিকে সামনে রেখে একাধিক রাজ্যে সতর্কতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকা বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। বাজার-ধর্মীয় স্থান, শপিং মলের মতো জায়গাগুলোতে তল্লাশি চালানোর কথাও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তরফে জানানো হয়েছে।
এর আগে নূপুর শর্মা ও দিল্লি বিজেপির মিডিয়া প্রধান নবীন কুমার জিন্দালের আলাদা আলাদা বিতর্কিত মন্তব্যের পর নূপুরকে সাময়িক এবং নবীনকে দল থেকে বরখাস্ত করেছে বিজেপি। তাদের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মুসলিম দেশগুলোতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ পর্যন্ত বিবৃতি দিয়েছে।
সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁস বিবৃতিতে বলেছেন, জাতিসংঘ কখনও ধর্মে ধর্মে বিভেদ করে না। নুপুর শর্মার বক্তব্য তিনি শোনেননি, তবে এ সম্পর্কিত যাবতীয় বিতর্ক তিনি জানেন। জাতিসংঘ কখনওই এই বিষয়গুলো অনুমোদন করে না বলে তিনি জানান।
এদিকে তুরস্ক, মিশর এবং ইরাক পুরো ঘটনাটিকে ইসলামোফবিয়া নাম দিয়ে ভারতের ভূমিকার নিন্দা জানিয়েছে।
এই দেশগুলোর ভারতীয় রাষ্ট্রদূতরা জানিয়েছেন, ভারত কোনও ধরনের ইসলামফোবিয়ায় বিশ্বাস করে না। ধর্মনিরপেক্ষ দেশের নীতি হলো- বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য। তাই বিভেদের প্রশ্ন ওঠে না। এই বিবৃতিতে চিঁড়ে ভিজছে বলে মনে হয় না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতিই হয়তো এই ক্ষোভের আগুনে জল ঢালতে পারে।