হার্ট অ্যাটাকের নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। যেকোনো সময়েই হতে পারে। বংশগত কারণে, জিনগত সমস্যা, অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে অনেকেই কম বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন এবং এ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। অল্প বয়সে কেন হার্ট অ্যাটাক হয় আর এর প্রতিরোধে কী করা যেতে পারে, এ বিষয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক-
জন্মগত কারণ: অনেকেরই জন্ম থেকেই শিরা-ধমনীর কিছু সমস্যা থাকে। মাপ ছোট হয়। এগুলো অল্প বয়সে সেভাবে বোঝা যায় না। যাদের এই সমস্যা আছে, তারা যদি পরে অতিরিক্ত পরিশ্রমের কাজ করেন বা খুব বেশি শরীরচর্চা করেন, তা হলে অল্প বয়সেও হৃদ্রোগের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
কাওয়াসাকি রোগ: অনেকেরই পাঁচ-সাত বছর বয়সে এই অসুখটি হয়। ফলে থ্রম্বোসিসের সমস্যা থেকে যেতে পারে। পরে বড় হলে ২৫-৩০ বছর বয়সেও তাদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা দেখা দেয়।
ধূমপানে আসক্তি: যারা ধূমপান করেন, গাঁজা সেবন করেন তাদের রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা দিতে পারে। ওষুধ খেলে এই সমস্যা কমে। কিন্তু রক্ত জমাট বাঁধছে, তা অনেক সময়েই টের পাওয়া যায় না। ফলে চিকিৎসায় দেরি হয়। হৃদ্রোগের আশঙ্কা তাতে বেড়ে যায়।
জিনগত কারণ: অনেকেরই জিনগত কারণে শিরা-ধমনীর নানা সমস্যা থাকে। বিশেষ করে লিপিড মেটাবলিজেমের সমস্যা থাকে অনেকের। তাদেরও কম বয়সেই হৃদ্রোগ হতে পারে।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ: অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের সঙ্গে হৃদ্রোগের সম্পর্ক রয়েছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পরেই হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।
মা-বাবার থেকে পাওয়া: যাদের বাবা-মায়ের হৃদ্যন্ত্রে সমস্যা রয়েছে, তাদের অনেকেরই কম বয়সে হৃদ্রোগের সমস্যা হতে পারে।
খাদ্যাভ্যাসের সমস্যা: এটি কম বয়সে হৃদ্রোগের অন্যতম কারণ। যারা খুব কম বয়স থেকে জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্তি তেলের খাবার, অতিরিক্ত পরিমাণে দুগ্ধজাত খাবার খান তাদের এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রতিরোধে কী করবেন
চিকিৎসকরা বলছেন, হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা থাকলে শরীরে সামান্য হলেও কিছু লক্ষণ দেখা যেতে পারে। সেটা যেকোনো বয়সেই হতে পারে। একেবারে ছোট বয়সে বুকে ব্যথা হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। নিয়মিত হৃদ্যন্ত্রের পরীক্ষা করাতে হবে।
তাই এমন লক্ষণ থাকলে অবহেলা না করে একেবারে ছোট বয়স থেকেই সাবধান হতে হবে। না হলে অল্প বয়সে হৃদরোগের আশঙ্কা আরও বাড়বে।