‘আজ দু’জনার দুটি পথ, ওগো দুটি দিকে গেছে বেঁকে…’ হৃদয় খান ও সুজানার সম্পর্ক এখন এই কালজয়ী গানের মতোই। তাদের ভালোবাসার গল্পটা অতীত হয়ে গেছে। আজ সোমবার রাজধানীর মণিপুরিপাড়ায় একটি কাজী অফিসে গিয়ে তালাকনামায় স্বাক্ষর করেছেন হৃদয় ও সুজানা জাফর। এর মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো তাদের আট মাসের দাম্পত্য জীবন।
হৃদয় ও সুজানার দাম্পত্য জীবন বেশ কিছুদিন ধরেই সুতোর ওপর ঝুলছিলো। অবশেষে বিচ্ছেদের দমকা হাওয়ায় তা আর টিকলো না। মতের অমিল ও সন্দেহের ঘেরাটোপে এই বিচ্ছেদের সূত্রপাত বলে জানা গেছে। কিন্তু দু’জনের পরিবার একাধিকবার আলোচনা করে ঝগড়া-বিবাদের নিষ্পত্তির চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু তা কাজে আসেনি। সর্বশেষ চারদিন আগে মিরপুরে হৃদয়ের বাসায় দুই পরিবার বসে আলোচনা করেও সমাধান আনতে ব্যর্থ হয়।
তালাকনামায় স্বাক্ষরের পর সুজানা বাংলানিউজকে বলেছেন, ‘হৃদয় ভালো থাকুক মনেপ্রাণে এই দোয়া করি। তবে জীবনে ওকে আরও পরিণত হতে হবে। আবেগ দিয়ে সংসার হয় না। মুরব্বিদের শ্রদ্ধা করাও শিখতে হবে ওকে। মুরব্বিকে না মানলে কেউই বেশিদূর যেতে পারে না। হৃদয় শুধু মানুষকে শুনিয়ে এসেছে আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু বিয়ের পর একছাদের নিচে থাকতে গিয়ে টের পেলাম, ওর ভালোবাসা পুরোটাই ছিলো মেকি।’
সুজানার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বনিবনা না হওয়ায় কয়েক মাস ধরে আলাদা থাকছেন তিনি ও হৃদয়।
হৃদয়ের গানের মডেল হতে গিয়ে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে সুজানার। গত বছরের ১০ জুলাই তিনি হৃদয়কে ভালোবাসার কথা প্রকাশ্যে আনেন। এরপর ১ আগস্ট তারা বিয়ের বন্ধনে জড়ান।
হৃদয় ও সুজানা দু’জনই এর আগেও বিয়ে করেছিলেন। ২০১০ সালে পূর্ণিমা আকতার নামের একটি মেয়ের সঙ্গে ছয় মাস সংসার করার পর তার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান হৃদয়। তারও আগে সাত বছর প্রেম করেছেন নওরীন নামের আরেকটি মেয়ের সঙ্গে। অন্যদিকে ২০০৬ সালে ঢাকার একটি বায়িং হাউসের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদকে বিয়ে করেন সুজানা। কিন্তু মাত্র চার মাস পর ভেঙে যায় ওই বিয়ে।