চট্টগ্রাম ব্যুরো: হাইড্রোজেন পার অক্সাইড (এইচটুওটু) একটি শক্তিশালী জারক পদার্থ, যার বৈশিষ্ট্য হলো অপরকে অক্সিজেন দিয়ে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটায়। আমরা জানি অক্সিজেন আগুন জ্বালাতে সাহায্য করে। তাই হাইড্রোজেন পার অক্সাইড অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতেও আগুনকে তীব্রতর করতে সাহায্য করে। ফলে এটি অতি উচ্চহারের দাহ্য পদার্থ হিসেবে পরিচিত। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড আগুনকে পানি দিয়ে নিভানো যায় না। এ তথ্যগুলো জানান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন।
রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ ড. ইসমাইল হোসেন জানান, পানির মূল উপাদান অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন। হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের জারণ ধর্মের কারণে এটি পানি থেকেও অক্সিজেন বিমুক্ত করে এবং আগুনকে করে আরও তীব্রতর। ফলে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থেকে আগুন লাগলে সেখানে কোনোভাবেই পানি ছিটানো যাবে না। কার্বন-ডাই অক্সাইড অথবা হ্যালোজেন-সমৃদ্ধ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এ ধরনের আগুনে স্প্রে করলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়। ড্রাই পাউডার অগ্নিনির্বাপক স্প্রে (এল২, এম২৮ লিথিয়াম পাউডার) ওপর থেকে প্রয়োগ করেও অক্সিজেনের সমৃদ্ধতা কমিয়ে আগুন নিভানো যায়। কেননা এল২, এম২৮ হলো লিথিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের শুষ্ক পাউডার; যা অক্সিজেনের সঙ্গে দ্রুততার সঙ্গে বিক্রিয়া করে আগুনের উৎসের অক্সিজেনের অভাব ঘটায় এবং আগুনের তীব্রতা হ্রাস করে। এসব পাউডার স্প্রে আকারে বাজারে পাওয়া যায়।
হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি জানান, এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহার হয় বলে এই রাসায়নিকটি ওষুধশিল্পে ব্যাপক কাজে লাগে। এটি ভালো পরিষ্কারক; তাই স্যানিটেশনে ব্যবহৃত বিভিন্ন লোশন, ক্রিম, টুথপেস্টে ব্যবহার হয়। তৈরি পোশাকশিল্পে ওয়াশিং কাজেও এটি জারক হিসেবে প্রচুর ব্যবহৃত হয়।