চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও আগুনে যাদের পিতা, সন্তান, ভাই মারা গেছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ টেস্ট করা হবে। নিহতদের মধ্যে এখনো যাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে।
এজন্য মৃত ব্যক্তির বাবা-মা, ভাই-বোন কিংবা ছেলে-মেয়েদের মধ্যে যে কোনো দুজনকে সোমবার (৬ জুন) সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পূর্ব গেটে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ারের সামনে তৈরি বুথে গিয়ে নমুনা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
রোববার (৫ জুন) রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ অনুরোধ জানিয়েছে।
ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ২২ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি দল।
এর আগে শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় রাসায়নিক থাকা একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে চার শতাধিক মানুষ আহত হন। তাদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন।
রাতেই আহতদের অধিকাংশকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া চট্টগ্রামের অন্যান্য হাসপাতালেও অনেককে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের আট কর্মীও রয়েছেন।
এছাড়া রোববার (৫ জুন) সকালেও বিস্ফোরণস্থল থেকে কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।