চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পরই বন্দরে পড়ে থাকা ৬০৯ ড্রাম হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড নিলামে তুলে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার (৬ জুন) বিকেল ৪টার দিকে প্রকাশ্যে এসব রাসায়নিক নিলামে তুলে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
সীতাকুণ্ডের ঘটনার পর রোববার (৫ জুন) বন্দর কর্তৃপক্ষ বিপজ্জনক পণ্য নিলামে তোলার জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়। চিঠি পাওয়ার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক সেগুলো নিলামে তুলে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়।
কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুরের কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেড তুরস্ক থেকে চার বছর আগে হাইড্রোজেন পার–অক্সাইডের চালানটি নিয়ে আসে। আমদানির পর প্রতিষ্ঠানটি সেগুলো খালাস করেনি। এরপর থেকে দুই কনটেইনারের চালানটি বন্দরের চত্বরে পড়ে আছে। চালানটিতে ৩০ হাজার ৪৫০ কেজি হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড রয়েছে। এই চালানের সংরক্ষিত দাম ধরা হয়েছে ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
কাস্টমসের উপকমিশনার আলী রেজা হায়দার গণমাধ্যমকে বলেন, দুই কনটেইনারের চালানটি প্রকাশ্য নিলামে তোলা হবে। সংরক্ষিত দামের ১০ শতাংশ পে–অর্ডার বা নগদ টাকা দিয়ে আগ্রহীরা নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড মূলত টেক্সটাইল, ডাইংসহ নানা শিল্পে ব্যবহার করা হয়।
গত শনিবার (৪ জুন) রাত ৮টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টায় এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
রাসায়নিক থাকায় একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় শ্রমিকসহ অনেকে হতাহত হন। পুড়ে যায় ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও।
এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা এক এক করে বেড়েই চলছে। সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৯ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ মোট ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন প্রায় চার শতাধিক। এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে এখনও কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট।