বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেনর, ‘গ্রামের মানুষেরা এখন সকালে উঠেই দোকানে চা খান। এতে বোঝা যায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। মানুষের আয় বেড়েছে, তাই আগে যে এক কাপ চা খেতেন, এখন সে দুই কাপ চা খান। এখন দেশে দিনে ১০ কোটি কাপ চা খাওয়া হয়।’
আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে চা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাংলাদেশ চা বোর্ড।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘চায়ের উৎপাদন বাড়ানো নিয়ে আমরা চিন্তা করি। জাতির পিতার স্পর্শ পেয়েছে এই চা শিল্প। তার অবদানের কারণে এ শিল্প অনেক এগিয়েছে। তিনি যেখানে হাত দিয়েছেন সেখানে ইতিহাস হয়েছে, সাফল্য এসেছে। প্রতি বছর ৪-৫ শতাংশ চা উৎপাদন বাড়ছে। তবে মানুষের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম, এ জন্য রপ্তানি করতে পারছি না।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশের উত্তরাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রীর নিজের ভাবনা থেকে চায়ের চাষ শুরু হয়। আজ অভ্যন্তরীণ চাহিদার ১৫ শতাংশ আসছে। চা পাতার কারণে আজ উত্তর এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। টিসিবির লাইনে এখন উত্তর এলাকায় মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। চা বাগানে কাজ করার কারণে তাদের আয় আরও অনেক বেড়ে গেছে।’
চা বাগান মালিকদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চা বাগানে ভালো মানের রিসোর্ট তৈরি হচ্ছে। এগুলো ব্যবসার জন্য ভালো। ক্রেতাকে রিসোর্টে রেখে এক বেলা খাওয়ালে, কারখানাগুলোর পরিবেশ দেখালে লোকসান নেই। এতে ক্রেতারা খুশি হয়, ব্র্যান্ডিং হয় নিজ পণ্যের।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, ‘অনাবাদী জমিতে ক্ষুদ্রাকার জমিতে চা উৎপাদন এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আমাদের চা শিল্পের উন্নয়নে ৯০ ভাগ অবদান আমাদের শ্রমিকদের। আমরা শ্রমিকদের আরও ট্রেনিং দিয়ে তাদের দেশের বাইরে পাঠাতে উদ্যোগ নিতে চাই, এতে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এম শাহ আলম, টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ওমর হান্নান।