দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচে ৫-১ গোলের জয় দিয়ে কাতার বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করেছে ফেবারিট ব্রাজিল। সিওল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফেবারিটের তকমা পাওয়া ব্রাজিল ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণ পর এগিয়ে গেলেও দুর্দান্ত এক গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিক দক্ষিণ কোরিয়া। এরপর আরও চারবার গোল উদ্যাপনের উপলক্ষ্য পায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
আগের দিন অনুশীলনে চোট পাওয়া নেইমারকে নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও ব্রাজিলের একাদশে স্থান পান তিনি। তাকে কেন্দ্র করেই দল সাজান ব্রাজিল কোচ তিতে। মিডফিল্ডে ছিলেন মায়েস্ত্রোর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ক্যাসেমিরো, লুকাস পাকুয়েতা ও ইউনাইটেডের হয়ে মৌসুমজুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দেয়া ফ্রেড। শুরুতে ফ্রেডের পাস থেকেই ব্রাজিলকে এগিয়ে নেন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় রিচার্লিসন।
সপ্তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়া ব্রাজিল খেলছিল তাদের চিরপরিচত ঢংয়ে, দর্শকরা নিচ্ছিলেন শৈল্পিক ফুটবলের স্বাদ। এমন সময়ে ম্যাচে ফেরে স্বাগতিক দল। সতীর্থের দুর্দান্ত এক পাস থেকে গোল করেন হুয়াং উই জো। ৪২ মিনিটে পেনাল্টি পায় সফরকারী শিবির। সেখান থেকে দলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার।
বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ পায় তিতের শিষ্যরা। নেইমারের নেয়া কর্নার কিকে হেড দেন থিয়াগো সিলভা। বল ফিরে আসে বারপোস্টে লেগে। সেখান থেকে আবার জালে শট নেন ক্যাসেমিরো। তখনও ব্যর্থ হয় সফরকারীদের প্রচেষ্টা। ফলে ২-১ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের পশরা সাজায় ব্রাজিল শিবির। ৫৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আরেকটি গোল করেন নেইমার। জাতীয় দলের জার্সিতে এটি তার ৭৩তম গোল। সর্বোচ্চ গোলদাতা পেলের চেয়ে আর ৪ গোলে পিছিয়ে আছেন তিনি।
৭৮ মিনিটে ম্যাচে বদলি হিসেবে নামেন ফিলিপে কৌতিনহো। দুই মিনিট পরই দক্ষিণ কোরিয়ার জালে বল জড়ান তিনি। দলের শেষ গোলটি আসে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের পা থেকে। তাতে ৫-১ গোলের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তিতের শিষ্যরা।