দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হচ্ছে। জুনের মধ্যে কর্মী পাঠানো শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানবিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এক বছরে ২ লাখ কর্মী যাবে মালয়েশিয়ায়। বেতন হবে ১৫০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত। মালয়েশিয়ায় যাওয়ার খরচ বা অভিবাসন ব্যয় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার কম হবে।
১৭ জানুয়ারি ফিরতি চিঠিতে এজেন্সি সংখ্যা নির্ধারণে আইনি বিধিনিষেধের কথা জানিয়ে জেডব্লিউজি বৈঠকে নিয়োগ পদ্ধতি ঠিক করার প্রস্তাব করেছিলেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ। তার সাড়ে চার মাস পর বৈঠক হতে যাচ্ছে। জিটুজি প্লাসে কর্মীদের ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ২০০ রিঙ্গিত।
কীভাবে কোন পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানো হবে, তা নির্ধারণে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় দুই দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) বৈঠক।
কর্মী পাঠানোর খরচ পুনর্নির্ধারণ করতে প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। খাতওয়ারি কর্মীদের বেতন কত হবে, তা-ও নির্ধারিত হয় বৈঠকে।
মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম ও বাংলাদেশের জনশক্তি ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, দেশটিতে বিদেশি কর্মীর তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে কর্মী পায়নি তারা। বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে নিয়োগকারীদের চাপ রয়েছে মালয়েশিয়ার সরকারের ওপর। ২৫ এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে আসছেন মালয়েশিয়ান মন্ত্রী। এতে বাংলাদেশ রাজি হলে আবারও সিন্ডিকেট হবে।