আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা লাশ চায়, লাশের রাজনীতি করে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। কিন্তু যতই ষড়যন্ত্র করুন কোনো লাভ নেই, নির্বাচনকে প্রতিহত করার ক্ষমতা আপনাদের নেই।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদেলের করা কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘‘২২ সালে দাঁড়িয়ে বিএনপি-জামায়াত ৭৫-এর স্বপ্ন দেখে। ‘৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেক বার’ এই স্লোগান দিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেখায়। মনে রাখবেন, মির্জা ফখরুল সাহেব এই বাংলাদেশ আর কোনো দিন ৭৫ ঘটতে দেওয়া হবে না।’’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে নানক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব কোন পথে হাঁটবেন সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাদের। ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটবেন না গণতন্ত্রের পথে হাঁটবেন। গণতন্ত্রের পথে হাঁটলে নির্বাচন কমিশনকে মানতে হবে। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে হবে। নির্বাচনকে ব্যর্থ করার, প্রতিহত করার ক্ষমতা আপনাদের নেই।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আজকে খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ২১ শে আগস্ট ২০০৪ সালে গ্রেনেড মেরে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। শেখ হাসিনা নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগার থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়িতে এনে রেখেছেন, চিকিৎসা দিচ্ছেন। তারেক রহমান দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি লন্ডনের সুরম্য অট্টালিকায় থাকছে দেশের টাকা লুট করে। সেখান থেকে লাদেনের ভূমিকা পালন করে কোনো লাভ হবে না।’
নানাক বলেন, ‘পদ্মাসেতু নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হয়েছিলো শেখ হাসিনা সে ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে দিয়ে আগামী ২৫ তারিখ স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিলো দেশ এগিয়ে চলছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজপথকে ভয় পায় না। এই দল রাজপথের দল।’
সমাবেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) আবারও আগুন সন্ত্রাসের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই দেশের আপামর জনতার দল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মাঠে আছে এবং থাকবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা যদি এই বাংলাদেশে বিএনপি এবং জামায়াতের নেতৃত্বে আবারও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করে আমাদের নেতা আমাদের নেতা-কর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আজকে যখন নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু হয়ে গেছে, তখন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত পলাতক চেয়ারম্যান এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাথা খারাপ হয়ে তাদের সমালোচনা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভরে গেছে। তাদের লজ্জায় মাথা হেট হয়ে গেছে। এই জন্য তারা বাংলাদেশের ভিন্ন রকমের একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল।