বরিশালে সময় টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ও বরিশাল ব্যুরো প্রধান অপূর্ব অপুর উপর হামলা ও অপহরণচেষ্টা পরিকল্পিত বলে দাবি করেছে এই ঘটনায় আটক শাহিন হোসেন মল্লিক মামুনের স্ত্রী মিতু।
মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকালে নগরীর শীতলা খোলা এলাকায় সাংবাদিকদের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।
মিতু সাংবাদিকদের জানান, নগরীর শীতলা খোলা এলাকায় ১১ তলা বিশিষ্ট চন্দ্রদ্বীপ নামে একটি ভবনের জমির মালিক আমার স্বামী শাহিন হোসেন মল্লিক মামুন। ওই জমিতে ডেভেলপাররা ভবন তৈরি করে। এই নিয়ে ডেভেলপারদের কাছে ৮০ লাখ টাকা পাওনা ছিল মামুনের। তবে সেই টাকা দিতে গড়িমসি করছিল ডেভেলপার নজরুল ইসলাম। এই নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর মাঝে সাংবাদিক অপূর্ব অপু দুই মাসের জন্য আমাদের ভবনের গ্যারেজ ভাড়া নেওয়ার কথা বলে। কিন্তু আমার স্বামী তাকে গ্যারেজ দেয় গাড়ি রাখতে।
তিনি বলেন, মামুনকে ফাঁসাতে ডেভেলপাররা জিহাদুল ইসলাম জেহাদসহ কয়েকজনকে দিয়ে সাংবাদিক অপূর্ব অপুর উপর হামলা ও অপহরণ চেষ্টা করেছে পরিকল্পিতভাবে। কেননা যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখানে এই হামলা করলে মামুন এমনিতেই ফাঁসবে। তাছাড়া জেহাদসহ অন্য যারা অপুর উপরে হামলা ও অপহরণচেষ্টা করেছে তারা সকলেই আমাদের ভবনের নিচ তলায় জোরপূর্বক আড্ডা দিত। সাংবাদিক অপূর্ব অপুকে তো সবাই চেনে, সে কেমন। তাই যার উপর হামলা করলে মামুন ফাঁসবে তার উপরই হামলা করেছে জেহাদ। আবার অপহরণের চেষ্টা করে মামুনের ভবনেই ঢুকেছে।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর হরিদাস নাগ বলেন, এই ঘটনায় মুমীতু কমিউনিটি সেন্টারের মালিক শাহিন হোসেন মল্লিক মামুনকে আটক করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম বলেন, সাংবাদিক অপুর উপর হামলা ও অপহরণ চেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোববার (২৯ মে) বিকালে বরিশাল নগরীর শীতলা খোলা এলাকায় সাংবাদিক অপূর্ব অপুর উপর হামলা ও তাকে প্রাইভেটকারে করে অপহরণচেষ্টা করে ৫ থেকে ৭ জনের একটি দুষ্কৃতিকারী দল। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ মূল অভিযুক্ত জিহাদুল ইসলাম জেহাদ ও নূরে আলমসহ বাকিদের গ্রেফতার করতে পারেনি। পাশাপাশি অপহরণচেষ্টায় ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটিও পুলিশ আটক করেনি। এই ঘটনায় বরিশালের বিশিষ্টজন, সাংবাদিক সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দিয়েছে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম।