মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় ছাড় নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। তিনি বলেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে রয়েছে মানবাধিকার সমুন্নত রাখা। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসব ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এ সময় জবাবদিহিতা ছাড়া র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিকাব) আলোচনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন। নির্বাচন, মানবাধিকার, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও নতুন অর্থনৈতিক জোট নিয়ে ডিকাবের ওই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় বলে জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভয়-ভীতিহীন সাংবাদিকতা সম্পর্কে সবসময় উৎসাহ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশেও সেটি চায় যুক্তরাষ্ট্র।
পিটার হাস বলেন, অবাধ গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যে ঠিক পথে আছে, তা কিন্তু নয়; রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৮২টি দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৪২তম। অর্থাৎ শীর্ষ তালিকার কাছাকাছি যুক্তরাষ্ট্র নেই। তাই যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতির উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। একই সমীক্ষায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২তম। পিটার হাস ওই আলোচনায় বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, র্যাবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সুরাহায় সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা ও বাহিনীটিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। জবাবদিহিতা ছাড়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। র্যাবকে মানবাধিকার আইন মেনে চলতে হবে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র র্যাবকে কার্যকর একটি বাহিনী হিসেবে দেখতে চায় বলেও জানান পিটার ডি হাস।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনউদ্দীন বক্তব্য রাখেন।