কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে জুতা কেনা নিয়ে পৌর এলাকায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় সংঘর্ষে ১০টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
রোববার (২৯ মে) রাতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়ে তা গড়ায় সোমবার (৩০ মে) দুপুর পর্যন্ত। সংঘর্ষ থেমে থেমে চলতে থাকে। দুপুর ২টার দিকে ইটপাটকেলের আঘাতে পূর্ব গাইলকাটা গ্রামের সুজন (৪০) নামের একজন নিহত হয়।
জানা যায়, গত শনিবার (২৮ মে) কুলিয়ারচর বাজারের সামান্তা সুজ থেকে জুতা কিনতে যায় পূর্ব গাইলকাটা গ্রামের লিলু মিয়ার ছেলে রবিন (১৭)। এ সময় বিল্লাল মিয়ার ছেলে দোকানদার মনিরের (৩০) সঙ্গে রবিনের বাকবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা সমাধানের জন্য পরদিন রোববার সন্ধ্যায় কুলিয়ারচর বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা অফিসে দরবার বসে। দরবার শেষে একপক্ষ বিচারকসহ অপরপক্ষের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং কুলিয়ারচর বাজারে শোডাউন দেয়। এসময় কুলিয়ারচর পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলরসহ দুই দরবারি এবং আরও তিনজন আহত হয়।
এ ঘটনার জেরে সোমবার (৩০ মে) সকাল ১০টার পর সকাল থেকে দুই গ্রামবাসী লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে থেমে থেমে দিনব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়াসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায়। দুপুর দুইটার দিকে ঢিলের আঘাতে পূর্ব গাইলকাটা গ্রামের সুজন (৪০) নামের একজন ঢিল খেয়ে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে আহতদের উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জের সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মস্তোফা বলেন, সংঘর্ষের সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর মাঝে দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ সময় ঢিলের আঘাতে একজনের মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জের সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।