প্রখ্যাত ধনকুবের বিল গেটস ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, আগামী ২০ বছরের মধ্যে নতুন এক মহামারি আঘাত হানবে। এটি হবে চেনা পরিচিত কোনো ভাইরাস, যা কিনা মানবজাতিকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম।
রোববার (২৯ মে) এল দিয়ারোকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বিল গেটস এসব কথা বলেন। খবর আরটি।
সাক্ষাতকারে বিল গেটস বলেন, ২০ বছরের মধ্যে পৃথিবী নতুন মহামারির ধ্বংসাত্মক রূপ দেখবে। নতুন এই জীবাণু সৃষ্টি হবে প্রকৃতি থেকেই। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জন্ম নেবে নতুন এ জীবাণু। ২০ বছরের মধ্যে নতুন মহামারি আঘাত হানার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ। গেটস এটিকে প্রকৃতিক আতঙ্ক (বায়োটেরর) বলে আখ্যায়িত করেছেন।
বিল গেটস জানিয়েছেন, মহামারি মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রতিটি দেশের উচিত প্রস্তুতি নেয়া, গবেষণার মাধ্যমে সম্ভাব্য সমাধান খুঁজে বের করা।
এ ব্যাপারে ৩ হাজার বিশেষজ্ঞ নিয়ে এখনই একটি টিম গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন বিল গেটস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অনুদান দেয়ার জন্যও আহ্বান জানান গেটস।
নতুন এই মহামারি ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উচিত প্রতি বছর ১ বিলিয়ন ডলার অনুদান দেয়া। এতে করে সংস্থাটির বাজেট ২৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছেন গেটস।
অনেকেই বলছেন বর্তমান আতঙ্ক মাঙ্কিপক্স হচ্ছে নতুন মহামারি। তবে গেটসের মতে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। গেটস বলেছেন, ‘বিশ্বে করোনা হানা না দিলে মাঙ্কিপক্স নিয়ে মানুষ মাথাও ঘামাত না।’
যদিও গেটস বলছেন, মাঙ্কিপক্স মহামারি আকার ধারণ না করলেও, বাজে পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। ইতোমধ্যে লাতিন আমেরিকা ও ইউরোপে এই রোগটি আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। মূলত আফ্রিকা থেকে ভাইরাসটি ইউরোপীয় দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত সপ্তাহে এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি সভা ডেকেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্স নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি করোনার মতো অতটা ছোঁয়াচে ও ভয়াবহ নয়।
এদিকে গেটস বলছেন, করোনাকে এখনো সমূলে বিনাশ করা যায়নি। যে কোনো সময়ে এটি বাজে দিকে মোড় নিতে পারে, সৃষ্টি করতে পারে নতুন ভ্যারিয়েন্ট, যা হবে আরও বিধ্বংসী ও মরণঘাতী।
যদিও বিল গেটস কোনো ডাক্তার কিংবা চিকিৎসাবিজ্ঞানী নন, তবুও করোনা সময়ে ভ্যাকসিনেশনে তার অবদানের জন্য অনেকেই তাকে ‘ভ্যাকসিন ম্যাগনেট’ উপাধি দিয়েছেন। এছাড়াও ২০১৫ সালে গেটস তার বইয়ে আসন্ন মহামারি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যার অনেকটাই মিলে গেছে। এজন্য নতুন মহামারি নিয়ে গেটসের করা মন্তব্য অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে।