বুধবার (১ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে সারাদেশে দুই হাজার ৪১৯টি কেন্দ্রে আট হাজার ৩০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কথা রয়েছে।
প্রথম দিন সকালে এইচএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্র এবং ডিআইবিএসে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন আলিমে কুরআন মাজিদ (সব বিভাগ), কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন ডিপ্লোমা-ইন-কমার্সে সকালে বাংলা-২ ও বিকেলে বাংলা-১ (সৃজনশীল), ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় সকালে বাংলা-২, বিকেলে বাংলা-১ (সৃজনশীল, নতুন সিলেবাস) ও বাংলা-১ (সৃজনশীল, পুরাতন সিলেবাস) বিষয়ের পরীক্ষা।
এইচএসসি ভোকেশনালে বাংলা-২ (সৃজনশীল, নতুন/পুরাতন সিলেবাস ও সাধারণ, পুরাতন সিলেবাস) বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পরীক্ষা চলাকালে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে।
দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) এইচএসসিতে (ভোকেশনাল) একাদশ শ্রেণিতে বাংলা-১ (সৃজনশীল, নতুন সিলেবাস) বিষয়ের পরীক্ষা রয়েছে। হরতাল-অবরোধের মধ্যে পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, বিএনপি জোট বৃহস্পতিবার হরতাল আহ্বান করলেও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন ওই দিনের পরীক্ষাও নেওয়া হবে।
গত ৬ জানুয়ারি থেকে অবরোধের মধ্যে বিএনপি জোটের হরতালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ১৬ দিনে ৩৬৮টি বিষয়ের সূচি পরিবর্তন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব পরীক্ষা শুক্র ও শনিবার নেওয়া হয়।
হরতাল-অবরোধে এইচএসসি পরীক্ষার সূচির কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মঙ্গলবার বিকেলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
পরীক্ষা গ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার আইন-শৃঙ্খলার জন্য বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এইচএসসিতে এবার আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে আট লাখ ৮৬ হাজার ৯৩৩ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৮৪ হাজার ৩৬০ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম/ভোকেশনালে ৯৮ হাজার ২৪৭ জন এবং ডিআইবিএসে চার হাজার ৩৪৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
পরীক্ষার্থীদের মধ্যে এবার পাঁচ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৩ জন ছাত্র এবং পাঁচ লাখ দুই হাজার ৮৯১ জন ছাত্রী।
বিদেশে সাতটি কেন্দ্রে ২৪১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে, এর মধ্যে ১১০ জন ছাত্র এবং ১৩১ জন ছাত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় যা যা করার দরকার তা করেছি। তারা নির্ভয়ে পরীক্ষা দিতে যাবে।’
১ এপ্রিল তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে আগামী ১১ জুন পর্যন্ত। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ১৩ থেকে ২২ জুনের মধ্যে।
এবার ২৫টি বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর আবশ্যিক বিষয় হিসেবে প্রথমবারের মতো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসসিটি) বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিবে শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষ: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একজন উপ-সচিবের দায়িত্বে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু থাকবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তার মোবাইল ফোন নম্বর-০১৭১১-৩১৭১৩৬।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর: ৯৫৪৯৩৯৬, ০১৭৭৭-৭০৭৭০৫ ও ০১৭৭৭-৭০৭৭০৬। আর ই-মেইল: [email protected].