আবারো নতুন বিতর্ক দেশের নারী ক্রিকেটে। এবারের তীর, আম্পায়ার আর ম্যাচ রেফারির দিকে। নারীদের ডিপিএলে মাঠ উপযুক্ত থাকার পরেও, কেরানীগঞ্জ ক্রিকেট একাডেমির আর শেখ রাসেল ম্যাচ ইচ্ছে করেই স্থগিত করা হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলে বিসিবিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে চিঠি দিয়েছে রাসেল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বোর্ড। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে ম্যাচ সংশ্লিষ্ট অফিসিয়ালদের।
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে শেখ রাসেল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট একাডেমি আর কেরানীগঞ্জ ক্রিকেট একাডেমির ম্যাচে বাগড়া দেয় বৃষ্টি। কিন্তু বৃষ্টি শেষে ভেজা আউটফিল্ডের কারণে শুরু করা যায়নি ম্যাচ। যদিও শেখ রাসেলের দাবি ভিন্ন। তারা বলছে মাঠ খেলার উপযুক্ত থাকার পরেও ম্যাচ রেফারি আর আম্পায়ার, যোগসাজশে ইচ্ছাকৃতভাবেই শুরু করেননি খেলা।
কারণটা প্রতিপক্ষতে অনৈতিকভাবে পয়েন্ট দেয়া। যেখানে অভিযোগের তীর ম্যাচ রেফারি ইমদাদুল হক ইনুর দিকে। কারণ সিসিডিএমের সদস্য সচিব আলী হোসেনের টিম, কেরানীগঞ্জ ক্রিকেট একাডেমি। যদিও পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আলী হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমার কথা কি ম্যাচ রেফারি শুনবে এখানে! ম্যাচ রেফারি যদি আমার কথা শুনতো তবে আমিও তো খেলতে ইচ্ছুক ছিলাম। ওখানে আমার টিমও তো ভালো অবস্থানে ছিল। কার্টেল ২০ ওভারে আমারও তো সুযোগ ছিল। আমি আঙুল দেখাইলাম না কি দেখাইলাম আর ম্যাচ রেফারি বলে দিলো, এটা কি একটা ছেলেখেলা?
বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই আমলে নিয়েছে বিসিবি। কারণ দর্শনোর নোটিশ দেয়া হয়েছে ম্যাচ অফিসিয়ালদের। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। আগামী রোববার যাদের নিয়ে বসবেন এই কমিটির প্রধানের দায়িত্ব পাওয়া সেলিম শাহেদ।
বিসিবির নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এ বিষয়ে বলেন, ‘আম্পায়ার এবং গ্রাউন্ডসের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। শেখ রাসেল যেহেতু অভিযোগ দিয়েছে সেহেতু আমরা দায়িত্ব দিয়েছি। গ্রাউন্ডস আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। খেলা পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি ছিলো কিনা, সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি।’
বিসিবি আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার মিঠু বলেন, ‘অলরেডি তাদের একটা শোকজ করেছি কেন এটা হলো। সে ইচ্ছাকৃত করেছে কিনা সেটা আগে আমাকে জানতে হবে। দুই পক্ষের কথা শুনেনি আগে।’
কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার আগ পর্যন্ত আপাতত আর কোনো ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন না দুই আম্পায়ার ও সেই ম্যাচের রেফারি ইমদাদুল হক ইনু।