চট্টগ্রাম নগরীতে গত সপ্তাহে রাস্তা থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া এক তরুণী জ্ঞান ফেরার পর পুলিশকে জানিয়েছেন, চলন্ত বাসে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল। ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে তিনি বাস থেকে লাফ দিয়েছিলেন।
‘ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়েছিলেন তরুণী’
ফেরদৌস লিপি
গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকা থেকে ওই তরুণীকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
পুলিশ জানায়, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার তার জ্ঞান ফেরে। বুধবার দুপুরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণী ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করেন।
১৯ বছর বয়সী ওই তরুণী নগরীর কালুরঘাট বিসিক শিল্প এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। চান্দগাঁও এলাকায় তার বাসা।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত কারখানার বাসে তরুণী প্রতিদিন আসা-যাওয়া করেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে কারখানা ছুটি হয়। তিনি বাসায় ফেরার জন্য অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে বাসে ওঠেন। বাস বহদ্দারহাট এলাকায় আসার পর অন্য শ্রমিকরা দ্রুত নেমে যান।
এসময় পেছনের আসন থেকে সামনে এগিয়ে এসে নামার সময় তাকে না নামিয়ে বাস দ্রুত রাহাত্তার পুলের দিকে এগিয়ে যায়।
তরুণীর বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, বাসের চালকের আসনে ছিলেন সহকারী। আর চালক দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। বাস যখন বহদ্দারহাট থেকে রাহাত্তার পুলের দিকে যেতে থাকে, তখন চালক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে নিচে পড়েন তরুণী।
পুলিশ কর্মকর্তা নোবেল চাকমা বলেন, তরুণীর অভিযোগ পাওয়ার পর বাসের চালক ও সহকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।