ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুটা হয়েছিল স্বপ্নের মতো। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ‘নাইটওয়াচম্যান’ কাসুন রাজিথাকে স্যালুট দিয়ে সাজঘরে পাঠিয়েছিল এবাদত হোসেন। এরপর আরও এক উইকেটের পতনে দ্রুত ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। যদিও পরে সফরকারীরা ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভালোভাবেই। বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ৫ উইকেটে ২৮২ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের চেয়ে তারা এখনো পিছিয়ে ৮৩ রানে।
মিরপুরে তৃতীয় দিনে প্রথম সেশনের প্রথম ঘণ্টাতেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। যদিও এরপর ব্যাটিংয়ে বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ান দুই ব্যাটার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা এবং ম্যাথিউস। মাঝে এক সেশন বৃষ্টির পেটে গেলেও তৃতীয় সেশনের শুরুতেও দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন দুজনে মিলে। সকালে দ্রুত অধিনায়ক করুনারত্নেকে হারানো শ্রীলঙ্কা পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ করে ১০২ রান।
অনবদ্য ইনিংস খেলার পথে লঙ্কান দুই ব্যাটারই ফিফটি তুলে নিয়েছেন। যদিও শেষ বিকেলে সাকিব রিভিউ নিয়ে ফেরান ধনঞ্জয়াকে। আউট হওয়ার আগে ৯ চারে ৫৮ রান করেন তিনি।
তবে তার আউটের পরও ম্যাচের লাগাম নিজেদের কবজায় রেখেছে সফরকারীরা। দিনের বাকি সময়ে ম্যাথিউসকে সঙ্গ দেওয়া দীনেশ চান্দিমাল অপরাজিত আছেন ১০ রানে। শ্রীলঙ্কার হয়ে আগের টেস্টে অল্পের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করা ম্যাথিউস আজও আছেন দলের ভরসার প্রতীক হয়ে। ১৫৩ বল খেলে ৪ চার ও এক ছক্কায় ৫৮ রানে অপরাজিত আছেন এ অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব আল হাসান সফলতম বোলার। ২৬ ওভার বল করে ৯টি মেডেন ওভারসহ ৫৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন সাবেক এ নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার। বাকি দুই উইকেট নিয়েছেন এবাদত হোসেন।
এদিন বৃষ্টি মাথায় নিয়েই তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ এবং সফরকারী শ্রীলঙ্কা। তবে প্রথমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গেবৃষ্টির বেগও বেড়ে যায়। আর তাই ১২ টা ৪০ মিনিটে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরুর কথা থাকলেও বৃষ্টির তোড়ে তা ভেস্তে গেছে।
দুপুর আড়াইটার দিকে বৃষ্টি থামলেও মাঠ প্রস্তুত করতে লেগে গেছে অনেকটা সময়। সাড়ে তিনটার দিকে মাঠ পরিদর্শন করে আম্পায়াররা জানিয়ে দেন, বিকেল চারটায় শেষ সেশনের খেলা শুরু হবে।
অবশেষে বিকেল চারটায় মাঠে আবার খেলা গড়ালে হাসি ফোটে দর্শকদের মুখে।