চলতি শতাব্দির শেষে অর্থাৎ ২০৯৯ সালে উষ্ণ তাপমাত্রার কারণে বছরে ৫০ থেকে ৫৮ ঘণ্টা ঘুম যাবে মানুষের। একটি নতুন গবেষণায় এমনটি বলা হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণ তাপমাত্রায় প্রতিরাতে মানুষের ঘুম ১০ মিনিট কমে যাবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণাটি বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ওয়ান আর্থে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাটি ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবরের মধ্যে ৬৮টি দেশে ৪৭ হাজার মানুষের রিস্টব্যান্ড এবং স্মার্ট ঘড়ি থেকে প্রাপ্ত ঘুমের সময়কালের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।
গবেষণার সহ-লেখক কেল্টন মাইনর হেলথডে নিউজকে বলেন, আমরা দেখেছি বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রার চেয়ে গরম রাতগুলোতে মানুষের ঘুম বাধাগ্রস্ত হয়। আমরা অনুমান করেছি যে রাতে গরম বেড়ে গেলে অল্প ঘুমের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
গবেষকরা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে রাতের তাপমাত্রা যদি ন্যূনতম বেড়ে যায় তবে সাত ঘণ্টার কম ঘুমের সম্ভাবনা ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে যায়।
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডের ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিচার ও সমাজ বিভাগের প্রভাষক অ্যালেক্স অ্যাগোস্টিনি বলেন, ৩ দশমিক ৫ শতাংশ ঘুমের ক্ষতি প্রাথমিকভাবে একটি ছোট সংখ্যার মত দেখা যেতে পারে। তবে এটি ক্ষতিকর। যদিও এই প্রভাষক গবেষণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
গবেষণায় বলা হয়, উষ্ণ তাপমাত্রা ঘুমে প্রতিকূলতা তৈরি করে। কারণ ভালো ঘুমের জন্য ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা কমাতে থাকে। তবে উষ্ণ তাপমাত্রায় এটি কঠিন হয়ে পড়বে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন জানায়, কম ঘুমের মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এরমধ্যে রয়েছে হার্টের রোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা। একজন প্রাপ্ত বয়স্ককে কমপক্ষে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।