মিয়ানমার উপকূলে রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে ১৭ জন মারা গেছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৫০ জন। অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় খারাপ আবহাওয়ার কারণে শিশুসহ প্রায় ৯০ জন আরোহী নিয়ে নৌকাটি সাগরে ডুবে যায়। ২০ জন সাঁতরে তীরে উঠলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাদের আটক করে।
অবৈধভাবে বঙ্গোপসাগর হয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে নারী ও শিশুসহ ৯০ জনের বেশি রোহিঙ্গা। রোববার (২২ মে) খারাপ আবহাওয়ার কারণে মিয়ানমার উপকূলে ডুবে যায় নৌকাটি।
জীবন বাঁচাতে অনেকেই সাঁতরে তীরে আসার চেষ্টা করেন। এ সময় অন্তত ২০ জন তীরে আসলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাদের আটক করে। বেঁচে যাওয়া ওই রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে রেডিও ফ্রি এশিয়া জানায়, গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিটওয়ে থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন তারা।
দুই দিন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়েন তারা। নৌকাডুবির ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ রয়েছেন অর্ধশতাধিক। নৌকাডুবির ঘটনায় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা সরকার।
২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের মুখে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিলেও এখনো ছয় লাখের মতো রাখাইনে বসবাস করছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ৬৩০ জন রোহিঙ্গা বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে মিয়ানমার থেকে পালানোর চেষ্টা করেছে। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।