বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চাপ কমাতে বিদেশি পণ্য আমদানিতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) আরোপ করেছে সরকার।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এসব বিদেশি পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রজ্ঞাপন জারি করে। যা গতকাল সোমবার থেকেই কার্যকর হয়েছে। নতুন এ শুল্ক আরোপে দেশের ফুল, ফল, প্রসাধনী ও আসবাবপত্র আমদানিতে খরচ বেড়েছে।
দেশে পণ্য আমদানিতে এতদিন ০ থেকে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ শুল্ক ছিল। মহামারী আর ইউক্রেইন যুদ্ধের জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতার মধ্যে সরকার সতর্ক অবস্থান নেওয়ায় নতুন অর্থবছরের বাজেটের আগেই এসব পণ্যের দাম বাড়ার পথ তৈরি হল।
বিভিন্ন ধরনের ফুল ও ফলে ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে এনবিআর জানিয়েছে, বাংলাদেশ ফুল ও ফল চাষে যথেষ্ট সমৃদ্ধশালী। নতুন শুল্ক আরোপের ফলে দেশীয় ফুল ও ফল চাষীরা ন্যায্যমূল্য পাবে ও চাষে উৎসাহিত হবে। এতে প্রান্তিক চাষিরা লাভবান হবে এবং কমবে আমদানি নির্ভরতা। একইভাবে বিদেশি আসবাবপত্র এবং আসবাব তৈরির কাঁচামালে নতুন কর আরোপের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে উৎপাদিত ফার্নিচার ও কসমেটিকস যথেষ্ট মানসম্পন্ন এবং দেশের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
এসব খাতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপের ফলে বিদেশি পণ্যের সাথে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশীয় শিল্প বিকশিত হবে এবং এ ধরনের পণ্যের অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিরুৎসাহিত হবে। একইসাথে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় এবং সরকারের রাজস্ব আহরণে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করছে এনবিআর।
এতদিন আমদানি পর্যায়ে তিন হাজার ৪০৮টি পণ্যে ৩ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা আরডি প্রযোজ্য ছিল। এরমধ্যে বিলাসবহুল পণ্য হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ পণ্যে উচ্চ শুল্ক ছিল।