কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, এ মামলায় খালেদা জিয়া জামিনে ছিলেন। আজ আদালত তাকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে হয়রানির উদ্দেশে একের পর এক তার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। ন্যায়বিচার হলে এসব মামলা থেকে তিনি বেকসুর খালাস পাবেন।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় আইকন পরিবহনের একটি বাসের কয়েকজন যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন আরো ২০ জন। সেসব ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়।
নাইকো মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির ৫ জুলাই
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৫ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ দিন ধার্য করেন।
এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এজন্য তার পক্ষে আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৫ জুলাই দিন ধার্য করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও জিয়াউদ্দিন জিয়া।
আইনজীবীরা জানান, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সাথে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি করেন।
২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (মৃত), সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন (মৃত), ওই সময়ের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো: শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।