রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে হামলার কথা অস্বীকার করেছে শাখা ছাত্রলীগ।
সোমবার (২৩ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় শাখা ছাত্রদলের দুই নেতা আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। আহতরা হলেন- শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ তাহের রহমান ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাকির রেদওয়ান।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত্যার হুমকি দিয়েছেন অভিযোগ করে রোববার (২২ মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করে ছাত্রদল।
এতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের হৃদয়ে আঘাত করেছেন। আমাদের আদর্শিক মাকে নিয়ে তিনি কটূক্তি করেছেন। তাই আমরা উত্তপ্ত। আমাদের আবেগ, আমাদের আদর্শিক মা খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করার চেষ্টা করবেন না। সৎ সাহস থাকলে পারলে ছাত্রদলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করুন।
ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদকের ওই বক্তব্যের ভিডিও দুপুর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা ফেসবুকে পোস্ট করে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদককে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। ক্ষমা না চাইলে যেখানে ছাত্রদল পাওয়া যাবে সেখানে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
এই ঘটনায় সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা পৃথক পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল থেকে ছাত্রদল নেতাকর্মী পেলে গণধোলাইয়ের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ। কর্মসূচির দুই ঘণ্টা না যেতেই ছাত্রদল নেতাদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠে।
হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করে রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব সানিন চৌধুরী বলেন, বেগম জিয়াকে শেখ হাসিনার করা কটূক্তির প্রতিবাদে দুপুরে আমাদের বিক্ষোভ মিছিল ছিল। বিক্ষোভ মিছিল শেষে আমাদের দুই ছোট ভাই ক্যাম্পাসে যায় সিট আনতে। এ সময় শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি শাকিল ও হাবিবুর রহমান ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহারাজের নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্রলীগ ক্যাডার তাদের ওপর হামলা চালায়।
এতে দুজনই গুরুতর আহত হয়েছে দাবি করে এই ছাত্রদল নেতা বলেন, দু’জনকেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে হামলা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাকিল ও হবিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহারাজ।
তারা বলেন, গতকাল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমাদের নেত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করেছে। আজ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করছিল এমন আশঙ্কা থেকে তাদেরকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয়।