মাদরাসার বদলে সাধারণ স্কুলশিক্ষার পক্ষে আবারো যুক্তি তুলে ধরলেন ভারতের আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। তার দাবি, মাদরাসায় পড়াশোনা করে চিকিৎসক বা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না শিক্ষার্থীরা। ‘মাদরাসা’ শব্দটিই বিলুপ্ত হওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
রোববার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের আয়োজিত অনুষ্ঠানে হিমন্ত বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত এই (মাদরাসা) শব্দটির অস্তিত্ব থাকবে, ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কথা ভাবতেও পারবে না বাচ্চারা। বাচ্চাদের যদি বলা যায় যে মাদরাসায় পড়াশোনা করে তারা ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না, তবে তারা নিজেরাই সেখানে (মাদরাসায়) যেতে চাইবে না।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে আসামের সমস্ত সরকারি মাদরাসা তুলে দিয়ে সেগুলোকে স্কুলে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই রাজ্যের সরকার। আসাম সরকারের দাবি, এতে ‘ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষাব্যবস্থা’ গড়ে তোলার পথ সহজ হবে। যদিও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে গৌহাটি হাইকোর্টে ১৩টি আবেদন জমা পড়ে। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আসাম সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
রোববার অনুষ্ঠানে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে হিমন্তকে প্রশ্ন করা হয়। তার উত্তর দিতে গিয়ে এই সিদ্ধান্তের পক্ষে নিজস্ব যুক্তি দিয়েছেন হিমন্ত। বাচ্চাদের মাদরাসায় ভর্তি করানো হলে তা তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমতুল্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হিমন্তর কথায়, ‘আপনাদের সন্তানদের কোরান শেখান, তবে বাড়িতে!’ স্কুলশিক্ষায় পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘স্কুলে সাধারণ শিক্ষায় জোর দেয়া উচিত। ধর্মীয় গ্রন্থগুলো বাড়িতেও শেখানো যায়। তবে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসর বা বিজ্ঞানী হওয়ার জন্য স্কুল পড়াশোনা করা উচিত।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা