ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে। ঝড়ের সঙ্গে ভারি বর্ষণও হয়েছে। এতে কয়েকদিনের গরম থেকে কিছুটা হলেও জনজীবনে স্বস্তি এসেছে। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, ডুবে গেছে সড়ক।
আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় চারিদিক অন্ধকার করে বৃষ্টি নামে। মিরপুর ১০ ও ১৩ নম্বর,মধ্য বাড্ডা, রামপুরা, তেজগাঁও, গুলশান, মগবাজার মলিবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা গেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া সঙ্গে বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
ছুটির দিন ও ভোর থেকে বৃষ্টি হওয়ায় রাজধানীর রাস্তায় সেভাবে যানবাহন ছিল না। ফলে স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের ছাতা হাতে- রেইনকোট পরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। খানিকটা ভোগান্তিরও শিকার হন তারা। কেউ কেউ জলাবদ্ধ সড়ক ধরে হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মর্তবান উপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমারে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে প্রথমে সুস্পষ্ট লঘুচাপ এবং পরবর্তী সময়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়ে মিয়ানমার উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। অপর একটি লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী তিনদিনে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।