ইউরোপে বিরল মাঙ্কিপক্সের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শুক্রবার জানিয়েছে, অন্তত ১১টি দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে প্রায় ১০০ জনের। ইতালি, সুইডেন, স্পেন, পর্তুগাল, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়ায় মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে প্রথম মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয় যুক্তরাজ্যে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, সন্দেহভাজন আরও ৫০ জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্তের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে সন্দেহভাজন এসব মাঙ্কিপক্স রোগী কোন কোন দেশের তা জানানো হয়নি।
বানরে শনাক্ত হওয়া রোগটি ঘনিষ্ঠ স্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। তবে আফ্রিকার বাইরে রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এতদিন পর্যন্ত বিরল ছিল। ফলে ইউরোপসহ যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় রোগটি ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
অবশ্য, বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাস মহামারির মতো সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন না। সার্স-কভ-২ ভাইরাসের মতো সহজে মাঙ্কিপক্স ছড়ায় না বলে তারা মনে করছেন। মাঙ্কিপক্স সাধারণ একটি ভাইরাসজনিত মৃদু রোগ। এটি প্রাণীবাহিত। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর ও ফুসকুড়ি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফ্রিকার পশ্চিমা ও মধ্যাঞ্চলে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হাজারো রোগী শনাক্ত হলেও ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোয় এতদিন রোগটির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি।
এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও বলেছে, ‘এ পর্যন্ত ১১টি দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক এ প্রাদুর্ভাব অস্বাভাবিক, কারণ এমন কিছু দেশে রোগটি প্রাদুর্ভাব ছড়াচ্ছে যা আগে দেখা যায়নি।’
ইউরোপে ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক হ্যানস ক্লুজ সতর্ক করে বলেছেন, গ্রীষ্মকাল শুরু হচ্ছে। জনসমাগম, উৎসব ও আয়োজনের কারণে রোগটির আরও বিস্তার ছড়ানো নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।
ডব্লিউএইচওর মতে, মাঙ্কিপক্সের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনও টিকা নেই। তবে স্মলপক্সের টিকা মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর বলে পরিসংখ্যানে দেখা গেছে।