পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকার বেশি চান বাণিজ্যমন্ত্রী

Slider অর্থ ও বাণিজ্য


বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম ৪০-৪৫ টাকার মধ্যে থাকা উচিত।

বুধবার (১৮ মে) সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা-সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখন আলোচনা হচ্ছে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। আমাদের তো একটা সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার যে কতটা বাড়তি দামে পেঁয়াজ খাওয়া উচিত, আর কতটা বাড়তি দাম কৃষকদের দেয়া উচিত।’

কৃষক পর্যায়ে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ কেজিতে ২০ টাকা এমনকি স্থানভেদে এ খরচ আরও বেশি হয় উল্লেখ করে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।

টিপু মুনশি বলেন, ‘এখন যদি বলে যে ২০ টাকায় পেঁয়াজ দিতে হবে তাহলে কিন্তু কৃষকরা বাঁচবে না, তারা উৎপাদনও করবে না। তারা উৎপাদন বন্ধ করে দেবে। আমাদের এমন একটা দামে যেতে হবে যেখানে কৃষকরাও পেঁয়াজের দাম পায় এবং ভোক্তারাও ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে পেঁয়াজ পায়। কারণ আমাদের কৃষক এবং ভোক্তা উভয়েরই স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।’

কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয় আমাদের একটা হিসাব দিয়েছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষক পর্যায়ে খরচ হয় ২০ থেকে ২১ টাকা, স্থানভেদে সেটি আরও বেশি। উৎপাদন খরচ যা-ই হোক, উৎপাদিত পেঁয়াজ পচে যাওয়ার একটা হিসাব রয়েছে। এটাও কিন্তু কৃষককে হিসাব করতে হয়। ফলন শেষেই কৃষকদের তো ৫-৬ টাকা করে লাভ করতে হবে।’

এছাড়াও মন্ত্রী জানান, প্রতি বছর গড়ে দুই থেকে আড়াই লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন করা গেলে, ২০২৫ সালের পর আর পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না।

পেঁয়াজের বাজার এখনো ঠিক আছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সতর্ক রয়েছে। যদি দেখা যায় বাজার খুব বেশি বাড়ছে, তাহলে কৃষি মন্ত্রণালয় আমদানির অনুমতি (আইপি) অনুমোদন দেয়ামাত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।

সভায় দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সম্পর্কিত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ছাড়াও এফবিসিসিআইসহ খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *